ঢাকায় চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরাসংগৃহীত

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চলছে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ উপস্থিত ছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে জেসিআই বাংলাদেশ।

অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রযুক্তি দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এই গতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে বিশ্বে বড় চ্যালেঞ্জ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। এসব নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নিয়ে কীভাবে কাজ করতে পারে, এ বিষয়ে সরকার একটা নীতিমালা করে দিতে পারে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ কয়েক মিলিয়ন ডলারের দশটা স্টার্টআপ পাবে। মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হতে বিকাশের সময় লেগেছে ১২ বছর, নগদের ৩ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে মেধাবী, সাহসী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবেই দেশে নেতৃত্বদানকারী স্টার্টআপ গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেটের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূঁইয়া, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ।

এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে বেসিস, বিজিএমইএ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ডেইলি স্টার। এ ছাড়া অংশীদার হিসেবে আছে আইএসপিএবি, বাক্কো এবং ই-ক্যাব।