মিস ম্যানারস কলামে প্রথমবারের মতো এল কম্পিউটারে যোগাযোগের আদবকেতা

সংবাদপত্রে ২৬ আগস্ট ‘মিস ম্যানারস’ কলামে পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যক্তিগত চিঠি বা বার্তা নিয়ে আদবকেতার (এটিকেট) নতুন এক জগতের কথা তুলে ধরেন জুডিথ মার্টিন।

মিস ম্যানারস কলামে যাপিত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে লিখতেন জুডিথ মার্টিনসংগৃহীত

২৬ আগস্ট ১৯৮৪
মিস ম্যানারস কলামে কম্পিউটারে যোগাযোগের আদবকেতা
সংবাদপত্রে ২৬ আগস্ট ‘মিস ম্যানারস’ কলামে পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যক্তিগত চিঠি বা বার্তা নিয়ে আদবকেতার (এটিকেট) নতুন এক জগতের কথা তুলে ধরা হয়। যাপিত জীবনের নানা বিষয়, এটিকেট নিয়ে দুই শতাধিক পত্রিকায় মিস ম্যানারস শিরোনামে নিয়মিত কলাম লিখতেন জুডিথ মার্টিন।
একজন পাঠকের প্রশ্নের জবাবে কম্পিউটারে ব্যক্তিগত যোগাযোগ নিয়ে জুডিথ মার্টিন এই দিনের কলাম লিখেছিলেন। ওই পাঠক লিখেছিলেন কম্পিউটারে লেখালেখি সুবিধাজনক, তবে ডট–ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের নিম্নমানের ছাপা এবং একটি চিঠির কোনো অংশ অন্য চিঠিতে কপি করার বিষয়ে তিনি ভীত।

জুডিথ মার্টিন
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

পাঠকের চিঠির জবাবে মিস ম্যানারস কলামে লেখা হয়, টাইপরাইটারের মতো কম্পিউটারও ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য উপযুক্ত নয়। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখা কোনো চিঠি বা বার্তাকে প্রাপক কোনো লটারি জেতার বা প্রচারণার চিঠি হিসেবে গুলিয়ে ফেলে। জুডিথ তাঁর কলামে এও লেখেন—আপনার কোনো বন্ধু যদি তাঁর কাছে পাঠানো আপনার চিঠির কোনো চিঠির কোনো অংশের সঙ্গে পরে পাওয়া অন্য কোনো চিঠিতে হুবহু মিল খুঁজে পান তবে আপনার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগে কোনো সমস্যা হবে না।
জুডিথ মার্টিনের মিস ম্যানারস কলাম ইউনিভার্সাল ইউক্লিক সংস্থার মাধ্যমে সপ্তাহে তিন দিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের ২০০–এর বেশি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হতো। ১৯৭৮ সালে প্রথম মিস ম্যানারস কলাম প্রকাশিত হয়।