স্যামসাংয়ের মানসিক স্বাস্থ্য অংশীদার হলো মনের বন্ধু

স্যামসাং ও মনের বন্ধুর মধ্যকার চুক্তিতে সই করেন ওয়োনমু কু ও তৌহিদা শিরোপাছবি: সংগৃহীত

ইলেকট্রনিক পণ্যনির্মাতা স্যামসাংয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ এবং  মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মনের বন্ধুর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর ফলে মনের বন্ধু এখন থেকে স্যামসাং আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ লিমিটেডের আনুষ্ঠানিক মানসিক স্বাস্থ্য অংশীদার হিসেবে কাজ করবে। স্যামসাং বাংলাদেশের সব কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মনের বন্ধুর মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য হলো স্যামসাংয়ের কর্মীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার, মানসিক সুস্থতা বাড়ানো ও কর্মীদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। আজ শনিবার মনের বন্ধু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৌহিদা শিরোপা ও স্যামসাং আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়োনমু কু চুক্তিপত্রে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউটের হেড অব এইচআর মো. সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার তাহসিন মাওলা, মনের বন্ধুর হেড অব মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম অ্যান্ড লিড সাইকো সোশ্যাল কাউন্সেলর কাজী রুমানা হক, প্রজেক্ট পোর্টফোলিও ম্যানেজার স্যাফায়ার হোসেন খান, সিনিয়র কাউন্সেলর মেহেদী মোবারক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর নওশাবা হৃদিতাসহ অনেকে।

এই চুক্তি নিয়ে তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মানসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকার এবং সামগ্রিক সুস্থতায় এর প্রয়োজন অপরিহার্য। এই সমঝোতা স্মারক বিশ্বব্যাপী একটি সুস্থ কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য নতুন মান নির্ধারণ করেছে।’

ওয়োনমু কু বলেন, ‘কর্মীদের সার্বিক সুস্থতা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই স্যামসাং সহকর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করতে আমরা মনের বন্ধুকে অফিশিয়াল মেন্টাল হেলথ পার্টনার বানাতে পেরে আনন্দিত।’