হুয়াওয়ের আইসিটি প্রতিযোগিতায় এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় হলো রুয়েট

জাকার্তায় হুয়াওয়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী রুয়েট দল পুরস্কার গ্রহণ করেছবি: সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতার (আইসিটি কমপিটিশন) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হুয়াওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছর শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক, ক্লাউড, কম্পিউটিং, ইনোভেশন—এই চারটি ভাগে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ভাগ থেকে ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে তাঁদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ ১২ শিক্ষার্থী চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে প্রতিযোগিতা করেন। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্কে এবং আরেকটি দল অংশ নেয় কম্পিউটিং ভাগে। কম্পিউটিংয়ে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একটি দলও। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল অংশ নেয় ক্লাউড ভাগে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে শীর্ষ তিনে স্থান করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন রুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ছাত্র শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার ও মো. মাজহারুল ইসলাম। জাকার্তায় বৃহস্পতিবার তাঁদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক পর্বে অংশ নেবে।

বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক খাত সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। বৈশ্বিক পর্বে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।’

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণেরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশে যে বিশালসংখ্যক তরুণ রয়েছেন, তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আসছে।’

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন জাকার্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সবার মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ফলে তাঁদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।’

বৈশ্বিক পর্বে ৪০টি দেশের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে তৈরি ১৭০টির বেশি দল অংশগ্রহণ করবে।