ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির পথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে ই-কমার্স খাত

বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটে ই–কমার্স নিয়ে আলোচনায় বক্তারা
প্রথম আলো

ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কঠোরতা কমিয়ে আনা গেলে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩’–এর শেষ দিনের প্যানেল আলোচনায় সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) সক্ষমতা বাড়ানো, প্রযুক্তি খাতে অবকাঠামোগত সহায়তা, সচেতনতা তৈরিসহ বিদ্যমান বিভিন্ন নিয়মনীতি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্যানেল আলোচনায় ই-কমার্স খাতের সমস্যা ও অপার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আরও বিভিন্ন দিক উঠে আসে।

ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আম্বারীন রেজার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, সিন্দাবাদ ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ জহির, রেজার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা অংশীদার আফশিন মোয়াইদ ও স্টারজন ক্যাপিটালের ভেঞ্চার পার্টনার ওয়াইজ রহিম।

ওয়াইজ রহিমের মতে, ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের ওপর অত্যাধিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ এ খাতের প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। যদিও এটি স্বীকার্য যে ডিএনসিআরপি ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামো রয়েছে। এই নীতিমালা যথাযথভাবে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে একটি দায়িত্বশীল ও নৈতিক ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।

আলোচনায় সাদিয়া হক বলেন, ই-কমার্স স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে তহবিল সক্ষমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিবেচনা করা উচিত। এই অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন।

সিন্দাবাদ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ জহির বলেন, ‘বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) খাতে ক্রেতারা প্রায়ই আমাদের এআইটি (অগ্রিম আয়কর) ও মূসক) কমিয়ে দিয়ে অনুরোধ করেন। ফলে ব্যবসায় লাভের সুযোগ কমে আসে। ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া জালিয়াতির ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব নীতির প্রয়োগ অবশ্যই যুক্তিযুক্ত, তবে এই খাতে যেন প্রয়োজনের বেশি কড়াকড়ি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।’

আম্বারীন রেজা বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের অমিত সম্ভাবনা উন্মোচন করা সম্ভব। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ইউনিট ইকোনমিকস বুঝতে হবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনের বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট। আজ এ আয়োজন শেষ হয়েছে।