স্মার্টফোন শিল্প কেমন গেল, নতুন কোন কোন ফোন এল

চলতি বছরে স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছেরয়টার্স

স্মার্টফোনের প্রযুক্তিতে ২০২৫ সাল ছিল পরিবর্তন ও প্রতিযোগিতার বছর। ফোনের নকশা, ক্যামেরা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যাটারি সক্ষমতায় বড় ধরনের উন্নয়ন করেছে প্রায় সব শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। নতুন প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের ফলে চলতি বছরে বেড়েছে স্মার্টফোনের সরবরাহ আর প্রবৃদ্ধিও। আবার এআইয়ের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সেমিকন্ডাক্টর খাতে মেমোরি চিপসংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব সুস্পষ্ট হবে আগামী বছর। এ বছরে স্মার্টফোন বাজারের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো দেখে নেওয়া যাক।

রেকর্ড করতে যাচ্ছে আইফোন

২০২৫ সালের শেষে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে সরবরাহ বা শিপমেন্ট ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। এতে সারা বছর বিশ্বজুড়ে মোট স্মার্টফোন সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১২৫ কোটিতে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) সর্বশেষ ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকার’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে আইডিসি ২০২৫ সালের জন্য ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। নতুন হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অ্যাপলের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো সাফল্য, উৎসবকালীন সময়ে বিক্রির গতি বৃদ্ধি, উদীয়মান বাজারগুলোর ধারাবাহিক সম্প্রসারণ এবং চীনের বাজারে স্থিতিশীলতার লক্ষণ। আইডিসির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষে অ্যাপলের স্মার্টফোন সরবরাহ বছরে ৬ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে। আগের বছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৯।

আইফোন
রয়টার্স

আইডিসির ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকারের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক নাবিলা পোপাল জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল অ্যাপলের জন্য রেকর্ড গড়ার বছর হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ আইফোন ১৭ সিরিজের ব্যাপক চাহিদার কারণে এ বছর অ্যাপলের স্মার্টফোন সরবরাহ ২৪ কোটি ৭৪ লাখ ছাড়াতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অ্যাপলের সবচেয়ে বড় বাজার চীনে আইফোন ১৭–এর চাহিদা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দ্রুত বেড়েছে। আইডিসির মাসিক বিক্রির তথ্যে দেখা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে চীনের বাজারে অ্যাপল ২০ শতাংশের বেশি বাজার দখল করে শীর্ষ অবস্থানে ছিল। প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় এই ব্যবধান ছিল উল্লেখযোগ্য। এর প্রভাব পড়েছে চীনের বাজার নিয়ে সামগ্রিক পূর্বাভাসেও। আইডিসি চীনে অ্যাপলের চতুর্থ প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির হিসাব ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। এর ফলে আগে যেখানে ২০২৫ সালে চীনের স্মার্টফোন বাজারে ১ শতাংশ সংকোচনের আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেখানে এখন ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। আইডিসির মতে, এটি বাজারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত।

চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বাজারেও অ্যাপলের বিক্রি বাড়ছে। এসব অঞ্চলে আগের বছরগুলোয় স্মার্টফোন বাজারে স্থবিরতার লক্ষণ দেখা গেলেও ২০২৫ সালে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইডিসির হিসাবে, চলতি বছরে অ্যাপলের স্মার্টফোন ব্যবসার মোট আর্থিক মূল্য ২৬ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়াতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

৭ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি অনেক ফোনেই

২০২৫ সালে স্মার্টফোন শিল্পে একাধিক প্রবণতা স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে। এর মধ্যে বড় ব্যাটারির ব্যবহার, ছোট আকারের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের প্রত্যাবর্তন, গেমিং কেন্দ্রিক যন্ত্রাংশের বিস্তার এবং ব্যবহারিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। একসময় যেখানে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিকে আদর্শ ধরা হতো, সেখানে এ বছর ৭ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি অনেক ফোনেই সাধারণ ফিচারে পরিণত হয়েছে। সিলিকন কার্বন প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অতিরিক্ত পুরুত্ব না বাড়িয়েই বড় ব্যাটারি যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে আবার ফিরেছে ছোট আকারের শক্তিশালী ফোন। বড় পর্দার ফোনে বিরক্ত ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন নির্মাতা কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেল এনেছে, যেগুলো আকারে ছোট হলেও কার্যক্ষমতায় কোনো ছাড় দেয়নি।

মোবাইল গেমিংয়ের দ্রুত বিস্তারের প্রভাব পড়েছে স্মার্টফোন নকশাতেও। উন্নত কুলিং ব্যবস্থা, উচ্চ রিফ্রেশ রেটের পর্দা এবং গেমিং কেন্দ্রিক হার্ডওয়্যার এখন মূলধারার ফোনেও দেখা গেছে। এমনকি অ্যাপলও আইফোন ১৭ প্রো মডেলে প্রথমবারের মতো ভেপার চেম্বার কুলিং প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও ২০২৫ সাল ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর এআইভিত্তিক সুবিধাগুলো কেবল প্রদর্শনী পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যবহারিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।তাৎক্ষণিক অনুবাদ, স্বয়ংক্রিয় সারসংক্ষেপ, স্মার্ট ছবি সম্পাদনা ও প্রাসঙ্গিক স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মতো ফিচার এখন অনেক প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে নিয়মিত সুবিধা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে।

২০২৫ সালের সেরা স্মার্টফোনগুলো

চলতি বছর কোন ফোনটি এগিয়ে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডার দীর্ঘ সময়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেছে। মাসের পর মাস বিভিন্ন ফোন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার, বাস্তব পরিবেশে ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং টানা ব্যবহারে ব্যাটারির সক্ষমতা যাচাইয়ের পর টেকরাডার তৈরি করেছে এ বছরের সেরা স্মার্টফোনের তালিকা। কাগুজে স্পেসিফিকেশনের চেয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাকেই এখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্র, গেমিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা সামগ্রিক পারফরম্যান্স ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনের ব্যবহারকারীদের জন্যই তালিকায় জায়গা পেয়েছে আলাদা আলাদা ফোন।

সেরা স্মার্টফোন আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স

সব দিক বিবেচনায় ২০২৫ সালের সেরা স্মার্টফোন হিসেবে উঠে এসেছে অ্যাপল আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স। পরিচিত আইফোন নকশার ভেতর থেকেই এতে আনা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যা একে আগের প্রজন্মের তুলনায় আরও আধুনিক ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই ফোনের সবচেয়ে বড় শক্তি এর ক্যামেরা ব্যবস্থা। তিনটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা নিয়ে তৈরি নতুন ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ স্মার্টফোন আলোকচিত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে। বাস্তব পরিবেশে তোলা ছবি ও ভিডিওতে রং, আলো ও বিস্তারিত অংশের উপস্থাপনা স্পষ্টভাবে আলাদা করে নজর কাড়ে। যাঁরা স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ মানের কার্যক্ষমতা ও ক্যামেরা দুটিই চান, তাঁদের জন্য আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স বর্তমানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পছন্দ।

সেরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন: ওয়ানপ্লাস ১৫

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বাজারে ২০২৫ সালে সবচেয়ে চমক দেখিয়েছে ওয়ানপ্লাস ১৫। শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং উন্নত সফটওয়্যার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ফোনটি ব্যবহারকারীর প্রায় সব প্রত্যাশা পূরণ করে। বিশেষ করে ব্যাটারির স্থায়িত্বে ফোনটি ব্যতিক্রমী। টানা ব্যবহারের পরও চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা কম থাকে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুবিধা। তুলনামূলক কম দামে এমন সক্ষমতা দেওয়ায় অনেক ব্যয়বহুল ফ্ল্যাগশিপ ফোনের সঙ্গেও এটি সমানতালে প্রতিযোগিতা করেছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবস্থায় ভারসাম্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা খুঁজছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য ওয়ানপ্লাস ১৫ অন্যতম সেরা বিকল্প।

আইফোনের সেরা ক্যামেরা: আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স

মোবাইল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আইফোন ১৭ প্রো সিরিজ আলাদা করে গুরুত্ব পেয়েছে। ক্যামেরাকে কেন্দ্র করেই ফোনটির ভেতরের প্রযুক্তি ও বাহ্যিক নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করে তোলা ছবিতে পাওয়া যায় সূক্ষ্ম বিবরণ, স্বাভাবিক রং ও স্থির ভিডিও ধারণের সুবিধা। যাঁরা প্রো মানের ক্যামেরা চান, তবে আকারে তুলনামূলক ছোট ফোন ব্যবহার করতে আগ্রহী, তাদের জন্য আইফোন ১৭ প্রো একটি বাস্তবসম্মত পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সেরা ক্যামেরা: গ্যালাক্সি এস ২৫ আলট্রা

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৫ আলট্রা ক্যামেরা সক্ষমতার দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। ২০০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, একাধিক টেলিফটো লেন্স এবং শক্তিশালী প্রসেসরের সমন্বয় থাকায় এটি কার্যত একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যামেরা ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে। যদিও আগের সংস্করণের তুলনায় পরিবর্তন খুব বড় নয়, তবু ক্যামেরার মান ও কার্যক্ষমতার ধারাবাহিক উন্নয়নের কারণে এটি স্যামসাংয়ের এখন পর্যন্ত সেরা ক্যামেরা ফোন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সেরা গুগল পিক্সেল ১০ প্রো

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে সবচেয়ে পরিণত অভিজ্ঞতা দেয় গুগল পিক্সেল ১০ প্রো। কল ব্যবস্থাপনা, তাৎক্ষণিক অনুবাদ ও স্বয়ংক্রিয় তথ্য সংরক্ষণের মতো সুবিধাগুলো বাস্তব ব্যবহারে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফোনটির শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সুবিধা ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন কাজ সহজ করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। যাঁরা চান স্মার্টফোন যেন ব্যক্তিগত সহকারীর মতো কাজ করুক, তাঁদের জন্য পিক্সেল ১০ প্রো সবচেয়ে উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন।

স্মার্টফোন নকশাতেও পরিবর্তন এসেছে
রয়টার্স

সেরা ভাঁজ করা স্মার্টফোন গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭

ভাঁজযোগ্য ফোনের বাজারে স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ দিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। পাতলা নকশা, বড় ভাঁজযোগ্য পর্দা এবং উন্নত ক্যামেরা একে একটি শক্তিশালী বহনযোগ্য কম্পিউটারে রূপ দিয়েছে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও নকশা, প্রযুক্তি ও বহুমুখী ব্যবহারের কারণে এটি ২০২৫ সালের সবচেয়ে আধুনিক স্মার্টফোনগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৬ সালে স্মার্টফোনের বাজার কেমন যাবে

স্বল্প মেয়াদে স্মার্টফোন বাজারের পূর্বাভাস ইতিবাচক হলেও ২০২৬ সালের জন্য চিত্র কিছুটা ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে আইডিসি ২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচনে নামিয়েছে। এই সংশোধনের পেছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিকভাবে যন্ত্রাংশের ঘাটতি, পণ্যের জীবনচক্রে পরিবর্তন এবং বড় নির্মাতাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে অ্যাপল তাদের পরবর্তী বেস মডেলের আইফোন উন্মোচনের সময় ২০২৬ সালের শেষ ভাগ থেকে সরিয়ে ২০২৭ সালের শুরুতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ২০২৬ সালে আইওএসভিত্তিক স্মার্টফোনের সরবরাহ প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করছে আইডিসি।

একই সঙ্গে বৈশ্বিক মেমোরি সংকট স্মার্টফোন উৎপাদনে চাপ তৈরি করছে। মেমোরি চিপের ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে কম ও মাঝারি দামের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, যেগুলোর বাজার দামের প্রতি তুলনামূলকভাবে বেশি সংবেদনশীল। ফলে ২০২৬ সালে মোট স্মার্টফোন ইউনিটের সংখ্যা কিছুটা কমলেও গড় বিক্রয়মূল্য বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, গড় বিক্রয়মূল্য বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৬৫ মার্কিন ডলারে। এর ফলে বাজারের মোট আর্থিক মূল্য পৌঁছাতে পারে রেকর্ড ৫৭ হাজার ৮৯০ মার্কিন ডলারে।

সূত্র: আইডিসি, টেক রাডার, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ম্যাশেবল