এন্টারপ্রাইজের জন্য ক্লাউড সেবা নিয়ে এল বাংলালিংক

বাংলালিংক ক্লাউড সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানছবি: বাংলালিংক

বিশ্বমানের এন্টারপ্রাইজ ক্লাউড সমাধান নিশ্চিত করতে নতুন ক্লাউড সেবা ব্র্যান্ড ‘বিক্লাউড’ চালু করল দেশের বাংলালিংক। দেশের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রদানকারী ফাইবার অ্যাট হোমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিকো পাবলিক ক্লাউডের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এ সেবা চালু করা হয়।

রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত বাংলালিংক টাইগারস ডেনে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ সেবা চালু করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভিওন গ্রুপের সিইও কান তেরজিওগ্লো, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, পিকো পাবলিক ক্লাউডের সিইও আজাদ চৌধুরী এবং ফেলিসিটি আইডিসির সিইও সারফুল আলম।

এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে কম্পিউটিং, স্টোরেজ, ব্যাকআপ ও রিকভারি, নেটওয়ার্কিং, সাইবার নিরাপত্তা সমাধানসহ পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী ক্লাউড সেবার ক্ষেত্রে নিজেদের আইসিটি সক্ষমতা বিস্তৃত করল বাংলালিংক। এটি এন্টারপ্রাইজের কার্যক্রমের আধুনিকায়ন করতে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।

দেশজুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা ও উদ্ভাবন এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই মাইলফলক। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মেশিন লার্নিং (এমএল) ও ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এ বিষয়ে ইওহান বুসে বলেন, ‘প্রতিটি উদ্ভাবনে গ্রাহকদের কেন্দ্রে রাখাই বাংলালিংকের মূলনীতি। একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অপারেটর হওয়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমরা দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদা পূরণ করবে এমন উদ্ভাবনী ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসার মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়কেই সক্ষম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এন্টারপ্রাইজ আইসিটি পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ এবং এন্টারপ্রাইজের ডিজিটাল সক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিক্লাউড চালু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

অনুষ্ঠানে মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল সেবা ও পিকোর প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে একত্র করার মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে আসবে। ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও কার্যকর ব্যবসায়িক সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি দেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।