বাসে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা যেভাবে কাজ করে

ঢাকার বেশ কিছু বাসে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ছবি: প্রথম আলো

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে ১৬ অক্টোবর রাজধানীর ১০০টি বাসে বসানো হয়েছে সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কর্মসূচি’–র আওতায় এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ পাইলট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংগঠন দীপ্ত ফাউন্ডেশন।

যেভাবে কাজ করে

এই কর্মসূচির প্রযুক্তিগত দিক দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় প্রধান রুপম বড়ুয়া বলেন, প্রতিটি বাসে একটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ক্যামেরাগুলোর সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত মোবাইল সিম থাকায় নির্দিষ্ট স্থান থেকে অনলাইনে সরাসরি বাসের ভেতরের ছবি দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ধারণ করা ভিডিও সিসিটিভি ক্যামেরাতে সংরক্ষণ করা যায়। এসব ভিডিও একটি সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। বাস চালু থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ভিডিও ধারণ করায় বাসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাবে। বাসের ভেতরের ছবি পর্যবেক্ষণ করতে সবগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম নির্দিষ্ট স্থান থেকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ করে তিন মাস পরপর মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে দীপ্ত ফাউন্ডেশন। তবে কোনো যাত্রী যদি নির্দিষ্ট বাস, চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে  অভিযোগ করেন, তবে ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করা হবে।

দরকার আরও প্রযুক্তিনির্ভরতা

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ফলে বাসে নারী ও শিশুরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। তবে শুধু সিমের সংযোগ দিয়ে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালেই হবে না। কেউ চাইলে সিম
কার্ডটি খুলে নিয়ে ফুটেজ নষ্ট বা ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে পারে। 

সচেতন থাকবে

সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোয় বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবেন এবং তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সব বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। বাসে হয়রানি বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।