ঘুরে বেড়ানোর শখ থেকে অনলাইন উদ্যোক্তা সাদিয়া হক

সাদিয়া হকসংগৃহীত

সাদিয়া হক ও তাঁর স্বামীর দুজনেরই শখ দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর। শখ মেটানোর জন্য সঞ্চয় করার পাশাপাশি নিয়মিত ঢুঁ মারতেন বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট ও হোটেলের সেরা অফারগুলোয়। ধীরে ধীরে ভ্রমণের নানা খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা হয় এই দম্পতির। তাই বন্ধুদের পাশাপাশি পরিচিত অনেকেই ভ্রমণে যাওয়ার আগে তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিতেন। ভ্রমণ শেষে পরামর্শের প্রশংসাও করতেন তাঁরা। বন্ধুদের এ প্রশংসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই সাদিয়া হক চালু করেন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্ট শেয়ারট্রিপ। শখের বসে চালু করা শেয়ারট্রিপে বর্তমানে কাজ করছেন ১৬৫ জন কর্মী।

শেয়ারট্রিপ চালুর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সাদিয়া হক বলেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করে আমি গ্রামীণফোনে কাজ শুরু করি। এরপর ২০০৭ সালে আমার বিয়ে হয়। আমার স্বামী একটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ফলে সে সময় আমরা দুজনে মিলে মোটামুটি ভালোই আয় করছিলাম। আমাদের খুব শখ ছিল প্রতিবছর অন্তত দুইবার বিদেশ ভ্রমণ করার। তখন বাংলাদেশ থেকে যেকোনো দেশে ভ্রমণের জন্য রীতিমতো দীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব কাটাতে হতো। ট্রাভেল এজেন্টদের ভালো অফারগুলোও এখনকার মতো এত বেশি বেশি পাওয়া যেত না। তাই আমরা প্রতিটি ভ্রমণের আগে লম্বা সময় নিয়ে সবকিছুর পরিকল্পনা করতাম। নিজেদের এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই চালু করি শেয়ারট্রিপ। শেয়ারট্রিপের প্রধান উদ্দেশ্য মূলত ভ্রমণপ্রেমীদের ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়, নির্বিঘ্ন ও উপভোগ্য করে তোলা। নিজেদের স্টার্টআপকে লাভজনক করে তোলার তাগিদ আমাদের অবশ্যই ছিল, কিন্তু দুজনেরই ভ্রমণ ভালো লাগায় এ বিষয়ে শুরুতে আমরা কোনো তাড়াহুড়া করিনি। একসময় আমার স্বামী চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি শেয়ারট্রিপের উন্নয়নে মনোযোগ দেন। ফলে দ্রুত শেয়ারট্রিপের কাজের পরিধি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আমিও চাকরি ছেড়ে পরিবার এবং শেয়ারট্রিপে পুরোপুরি কাজ শুরু করি।’