মানুষের মাথায় বসানো নিউরালিংকের চিপ ঠিকমতো কাজ করছে না, কেন

মানুষের মস্তিষ্কে বসানো নিউরালিংকের চিপের কার্যকারিতা কিছুটা কমে গেছেছবি: রয়টার্স

গত ২৯ জানুয়ারি মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি ব্রেন চিপ যুক্ত করে সবাইকে চমকে দেয় ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। সে সময় চিপটির মাধ্যমে মনে মনে ভেবেই দূর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বর্তমানে চিপটির কার্যকারিতা কিছুটা কমে যাওয়ায় সংকেত আদান-প্রদানে সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছে নিউরালিংক।

এক ব্লগ বার্তায় নিউরালিংক জানিয়েছে, শুরুতে চিপটিতে আশাব্যঞ্জক নিউরো স্পাইক শনাক্ত করা গেলেও ১০০ দিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বেশ কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিপ থেকে আসা তথ্য বা ডেটার প্রবাহ কিছুটা কমছে।

২৯ বছর বয়সী নোল্যান্ড আরবারের মাথায় এই চিপ বসানো হয়। ডাইভিং দুর্ঘটনার পর তাঁর কাঁধের নিচের অংশ পক্ষাঘাতে নিস্তেজ হয়ে যায়। চিপ বসানোর পর এ বছরের মার্চ মাসে মনে মনে ভেবে মাউসের কার্সরের অবস্থান পরিবর্তন করে ল্যাপটপে দাবা খেলতে সক্ষম হন তিনি।

আরও পড়ুন

জানা গেছে, নোল্যান্ডের মাথায় চিপ বসানোর পরে সবকিছু পরিকল্পনামতো করতে পারেননি নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা। কারণ, অস্ত্রোপচারের পর নোল্যান্ডের মাথা থেকে চিপটির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি তারের সংযোগ ধীরে ধীরে খুলে নেওয়া হয়। ফলে চিপের সংকেত আদান-প্রদানের গতি কমে যায়। সমস্যা সমাধানের জন্য চিপটির অ্যালগরিদম সংশোধন করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এতেও কাজ না হওয়ায় চিপটির সংকেত আদান-প্রদানের প্রযুক্তি উন্নত করতে কাজ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নিউরালিংককে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ যুক্ত করার পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়। নিউরালিংকের চিপটির মাধ্যমে মনে মনে ভাবলেই কম্পিউটারের কার্সর নাড়ানো যায়। ফলে মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে জটিল স্নায়বিক সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে আশা করছে নিউরালিংক।

সূত্র: ওয়্যার্ড ডটকম ও নিউরালিংক

আরও পড়ুন