যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের পর ব্যবহারকারী টানতে মরিয়া ইনস্টাগ্রাম-ইউটিউব
অবশেষে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী চাইলেও ব্যবহার করতে পারছেন না চীনা মালিকানাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি। টিকটক নিষিদ্ধের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশটিতে। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক টিকটক ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করতে কাজ শুরু করেছে ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রায় ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী ও কনটেন্ট নির্মাতা নতুন বিকল্প প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই টিকটকের স্থান দখলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব। টিকটক ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য নিজ নিজ কর্মীদের নির্দেশও দিয়েছে ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং ইউটিউবের মূল প্রতিষ্ঠান গুগল।
প্রসঙ্গত, টিকটকের আদলে আকারে ছোট ভিডিও আদান-প্রদানের সুযোগ থাকায় ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইনস্টাগ্রামের ‘রিলস’ এবং ইউটিউবের ‘শর্টস’ ভিডিও। আর তাই কোনো দেশে টিকটক নিষিদ্ধ করা হলে সেখানে ইনস্টাগ্রামের ‘রিলস’ এবং ইউটিউবের ‘শর্টস’ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারীদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে আকৃষ্ট করতে কাজ করছে মেটা ও গুগল।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীকাল রোববার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই টিকটকের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন তিনি। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় কার্যক্রম চালুর বিষয়ে বেশ আশাবাদী টিকটক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে এক বার্তায় টিকটক জানিয়েছে, ‘আমরা ভাগ্যবান যে ক্ষমতা গ্রহণের পর টিকটক পুনর্বহালে সমাধানমূলক পথ খুঁজতে আমাদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন।’
সূত্র: বিবিসি, ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস