কম্পিউটার বিজ্ঞানী রবার্ট ফ্যানোর জন্ম

তথ্য তত্ত্বের প্রবক্তা ও শ্যানন-ফ্যানো কোডিংয়ের সহউদ্ভাবক রবার্তো মারিও ‘রবার্ট’ ফ্যানো ইতালির তুরিনে জন্মগ্রহণ করেন। একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারীর কম্পিউটার ব্যবহার অর্থাৎ টাইমশেয়ারিং পদ্ধতির পথিকৃৎ ধরা হয় রবার্ট ফ্যানোকে।

কম্পিউটার উন্নয়নের অন্যতম পথিকৃৎ রবার্ট ফ্যানোউইকিমিডিয়া

১১ নভেম্বর ১৯১৭
কম্পিউটার বিজ্ঞানী রবার্ট ফ্যানোর জন্ম
তথ্য তত্ত্বের প্রবক্তা ও শ্যানন-ফ্যানো কোডিংয়ের সহউদ্ভাবক রবার্তো মারিও ‘রবার্ট’ ফ্যানো ইতালির তুরিনে জন্মগ্রহণ করেন। একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারীর কম্পিউটার ব্যবহার অর্থাৎ টাইমশেয়ারিং পদ্ধতির পথিকৃৎ ধরা হয় রবার্ট ফ্যানোকে। তিনি যুক্তরাস্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রজেক্ট ম্যাকের নেতৃত্ব দেন। এই ম্যাক প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিল টাইমশেয়ারিং ও ইন্টারঅ্যাকটিভ কম্পিউটার নির্মাণ করা।

রবার্ট ফ্যানো
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

রবার্ট ফ্যানো এমআইটির তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ছাত্র হিসেবে ক্লদ শ্যাননের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁর সহযোগী হয়ে ওঠেন। সেই সময় শ্যানন ও ফ্যানো মিলে তথ্য তত্ত্বের ধারণা দেন। রবার্ট ফ্যানোর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলো—ট্রান্সমিশন অব ইনফরমেশন: আ স্ট্যাটিস্টিক্যাল থিওরি অব কমিউনিকেশনস (১৯৬১), ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডস, এনার্জি অ্যান্ড ফোর্সেস (১৯৬০) ও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি ট্রান্সমিশন অ্যান্ড রেডিয়েশন (১৯৬০)। ফ্যানো ১৯৭৬ সালে ক্লদ ই শ্যানন পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্সের ফেলো ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস ও দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়েরও সদস্য ছিলেন। রবার্ট ফ্যানো ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই মারা যান।

সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি