ইনস্টাগ্রাম কি গোপনে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন চালু করে
বন্ধুদের সঙ্গে কোনো পণ্য বা স্থান নিয়ে কথা বলার পর ইনস্টাগ্রামে হঠাৎ করে সেই বিষয়ে একাধিক বিজ্ঞাপন দেখার অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে। আর তাই ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে গোপনে ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে কথোপকথন শোনার অভিযোগ করেন অনেকেই। তবে ব্যবহারকারীদের এই অভিযোগকে পুরোপুরি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম প্রধান অ্যাডাম মোসেরি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় অ্যাডাম মোসেরি বলেন, ‘আমরা কারও কথা শুনি না। ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে আড়ি পাতি না।’ অ্যাডাম মোসেরির তথ্যমতে, যদি ইনস্টাগ্রাম সত্যিই কথোপকথন গোপনে ধারণ করত, তবে ব্যবহারকারীরা সহজেই তা টের পেতেন। এতে ফোনের ব্যাটারি অস্বাভাবিকভাবে শেষ হয়ে যেত এবং মাইক্রোফোন চালু থাকার সংকেতও স্পষ্ট দেখা যেত।
অ্যাডাম মোসেরির দাবি সত্য হলে ইনস্টাগ্রামে কথোপকথনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখা যায় কীভাবে? এ বিষয়ে কয়েকটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোসেরি। প্রথমত, ব্যবহারকারীরা অনেক সময় ভুলে যান যে তারা আগে কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন বা কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বিজ্ঞাপন ইনস্টাগ্রামে পৌঁছায়। দ্বিতীয়ত, ইনস্টাগ্রাম কেবল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আগ্রহই বিবেচনা করে না, বরং তার বন্ধু ও পরিচিত ব্যক্তিদের আগ্রহও পর্যবেক্ষণ করে। ফলে কোনো বন্ধু যদি নির্দিষ্ট একটি পণ্য খুঁজে থাকেন, সেটি আপনার ফিডেও দেখা যেতে পারে। তৃতীয়ত, কখনো কখনো বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের চোখে পড়লেও মনে থাকে না। পরে আলাপে একই বিষয় এলে মনে হয় বিজ্ঞাপনটি তখনই এসেছে, অথচ বাস্তবে তা আগে থেকেই দেখা হচ্ছিল।
মেটার মালিকানাধীন বিভিন্ন অ্যাপের বিরুদ্ধে গোপনে ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শোনার অভিযোগ আগেও উঠেছে। তবে মেটা একাধিকবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট শুনানিতে মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গও জোর দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘না’।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে