যে পরীক্ষায় অংশ নিলে শুয়ে শুয়ে মিলবে ৪১০০ পাউন্ড
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি একটি গবেষণার অংশ হিসেবে ভিন্ন ধরনের পরীক্ষা পরিচালনা করছে। ১০ দিনের জন্য পানির নিচে থাকা একটি বিছানায় শুয়ে থাকার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। ভিভাল্ডি থ্রি নামক এই পরীক্ষাটি ফ্রান্সের টুলুজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মেডিস স্পেস ক্লিনিকে পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষের শরীরে মহাকাশযানের প্রভাব জানতে এই পরীক্ষা ডিজাইন করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ১০ জন স্বেচ্ছাসেবককে পানিরোধী কাপড় দিয়ে আবৃত করে বাথটাবের মতো যন্ত্রে শুয়ে থাকতে হবে। এই কাপড়ে তাঁরা একইভাবে শুষ্ক থাকেন ও সমানভাবে পানিতে ভেসে থাকেন। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা শারীরিক সমর্থন ছাড়াই ভাসমান অনুভূতি অনুভব করবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা যেমন অনুভব করেন তেমনিই অনুভূতি থাকবে পরীক্ষার সময়। এই পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে ৪ হাজার ১০০ পাউন্ড পুরস্কার দেওয়া হবে।
এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় বিশেষভাবে টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। টয়লেট বিরতির জন্য অংশগ্রহণকারীদের সাময়িকভাবে একটি ট্রলিতে স্থানান্তরিত করে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। মানবদেহে ওজনহীনতার প্রভাব বুঝতে এই পরীক্ষা পরিচালনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষা ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরিচালিত হবে। শুধু পুরুষ অংশগ্রহণকারীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। স্বেচ্ছাসেবকদের মোট ২১ দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ২১ দিনের মধ্যে ১০ দিন পানির মধ্যে থাকা বিশেষ বিছানায় শুয়ে কাটাতে হবে। অংশগ্রহণকারীরা বিস্তৃত চিকিৎসা–সংক্রান্ত পরীক্ষায় ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ হিসেবে কাজ করবেন।
খাওয়ার সময় তাঁদের একটি ভাসমান বোর্ডে খাবার দেওয়া হবে। ঘাড় বালিশ ব্যবহার করে তাঁরা খাবার গ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারীরা এ সময় ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। গবেষণায় ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষেরা অংশ নিতে পারবেন। ভালো স্বাস্থ্যের অধূমপায়ী অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হবে। মহাকাশের ভারহীনতায় মহাকাশচারীদের দেহ মাধ্যাকর্ষণের অভাবে বিস্তৃত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সেখানে মহাকাশচারীরা পেশি ও হাড়ের ঘনত্ব হারায়। চোখের মণির আকার পরিবর্তন হতে পারে ও শরীরের তরল মস্তিষ্কে জমা হতে পারে। নতুন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ওজনহীনতার মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল