প্রযুক্তির এই দিনে: ২৯ সেপ্টেম্বর
ইন্টারনেটের জন্মস্থান সার্ন প্রতিষ্ঠিত
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত পরমাণু বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-সার্ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সার্নই ইন্টারনেটের জন্মস্থান।
২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪
ইন্টারনেটের জন্মস্থান সার্ন প্রতিষ্ঠিত
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত পরমাণু বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-সার্ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সার্নই ইন্টারনেটের জন্মস্থান।
আন্তদেশীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান সার্ন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কণা পদার্থবিজ্ঞান (পার্টিকল ফিজিকস) গবেষণাগার পরিচালনা করে। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সার্নের অবস্থান সুইজারল্যান্ডের জেনেভার শহরতলিতে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে। ২৩ দেশ সার্নের সদস্য। একমাত্র অ-ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েল ২০১৩ সালে সার্নের পূর্ণ সদস্য হয়। সার্ন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক পর্যবেক্ষক।
সার্নের মূল কাজ হলো উচ্চ শক্তির পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার অবকাঠামোগত সহায়তা দেওয়া। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সার্ন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। সার্নেই লার্জ হাড্রন কলাইডর (এলএইচসি) রয়েছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও বেশি শক্তির পার্টিকল কলাইডর।
জেনেভার মেইরিনে সার্নের মূল স্থানে বিশালাকার কম্পিউটার গবেষণাগার রয়েছে। প্রথমে এটি তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহৃত হতো। ঐতিহাসিকভাবে এই গবেষণাগারের রয়েছে বিস্তৃত নেটওয়ার্কব্যবস্থা। এই সার্ন ইন্টারনেটের জন্মস্থান হিসেবেও খ্যাত।
পশ্চিম ইউরোপের ১২টি দেশ মিলে ১৯৫২ সালে প্রথম সার্ন গঠন করে। তখন ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্নের কার্যক্রম চলে। পরে ডেনিশ পদার্থবিজ্ঞানী নিলস বোরের পরামর্শে জেনেভায় স্থানান্তরিত হয় সার্ন। ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নতুন আঙ্গিকে বড় পরিসরে সার্নের যাত্রা শুরু হয়। ফরাসি ভাষায় ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের শব্দগুলোর আদ্যক্ষর নিয়ে ‘সার্ন’ নামকরণ করা হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪
সান মাইক্রোসিস্টেমে দেখানো হলো হটজাভা
প্রোগ্রামাররা প্রথমবারের মতো হটজাভার নমুনা দেখান সান মাইক্রোসিস্টেমস ইনকরপোরেটেডের নির্বাহীদের সামনে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ব্যবহার করে সানের নতুন প্রোগ্রামিং প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চেষ্টা ছিল হটজাভায়। জাভা প্রযুক্তিতে একটি ব্রাউজার তৈরিও ছিল উদ্দেশ্য। সত্যিকারের সর্বজনীন অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ধারণা থেকেই জাভার জন্ম। জাভার উদ্দেশ্যই ছিল এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করা, যা দিয়ে যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার, ওয়েব, টেলিভিশন বা টেলিফোনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার বানানো যাবে।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি