বাংলাদেশে ডিজিটাল টেলিফোন চালু

বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড-বিটিটিবি (বর্তমানে বিটিসিএল) ডিজিটাল টেলিফোন সেবা চালু করে। ঢাকা টেলিযোগাযোগ অঞ্চলে ছয়টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়।

তিন দশকের বেশি সময় আগে দেশে চালু হয় ডিজিটাল টেলিফোনফাইল ছবি

৪ জানুয়ারি ১৯৯০
বাংলাদেশে ডিজিটাল টেলিফোন চালু
বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড-বিটিটিবি (বর্তমানে বিটিসিএল) ডিজিটাল টেলিফোন সেবা চালু করে। ঢাকা টেলিযোগাযোগ অঞ্চলে ছয়টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিটিটিবি দেশে টেলিফোনের ডিজিটাল যুগ শুরু করে। প্রথম দিকে এই এক্সচেঞ্জগুলো মোট ২৬ হাজার লাইনের ছিল। ২০১১ সাল নাগাদ সারা দেশে বিটিসিএলের (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড) ৫৮৫টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। এর বাইরে ১০৮টি অ্যানালগ এক্সচেঞ্জও ছিল তখন। এগুলোও পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে রূপান্তরিত হয়।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

এইচপি–৩৫
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

৪ জানুয়ারি ১৯৭২
প্রথম সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর এইচপি-৩৫
হাতে বহনযোগ্য প্রথম সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর এইচ-৩৫ বাজারে আনে কম্পিউটার নির্মাতা হিউলেট-প্যাকার্ড (এইচপি)। ৩৫টি বোতামের জন্য এইচপি-৩৫ জনপ্রিয়তা পায়। এর ওজন ছিল ৯ আউন্স। দাম ছিল ৩৯৫ মার্কিন ডলার। এক পরীক্ষায় এইচপির সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেভ প্যাকার্ড তাঁর অফিসে এই ক্যালকুটের ছুড়ে ফেলেছিলেন। তারপরও এটি সচল ছিল।

ব্ল–রে ডিস্কের এই পাশে তথ্য জমা হয়
উইকিমিডিয়া

৪ জানুয়ারি ২০০৬
বাজারে এল ব্লু-রে ডিস্ক
তথ্য সংরক্ষণের জন্য নতুন ঘরানার ডিজিটাল অপটিক্যাল ডিস্ক বাজারে আসে। এর নাম ব্লু-রে ডিস্ক। এর নকশা করা হয় ডিভিডি ফরম্যাটের পরবর্তী প্রযুক্তি হিসেবে। ব্লু-রে ডিস্ক ২০০৫ সালে উদ্ভাবিত হয়। প্রথমে জাপানের বাজারে ছাড়া হয়। ২০০৬ সালের ২০ জুন বিশ্বব্যাপী ব্লু-রে ডিস্ক বাজারজাত করা হয়। এ ডিস্কে কয়েক ঘণ্টার হাই-ডেফিনিশন ভিডিও (এইচডিটিভি ৭২০ ও ১৮০ পিক্সেল) সংরক্ষণ করা যায়। ব্লু-রে ডিস্কের মূল প্রয়োগ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা। এ ছাড়া সনির প্লে স্টেশন ৩, ৪, ৫, এক্সবক্স ওয়ান ও এক্সবক্স সিরিজ টেনের ভিডিও গেম সরবরাহ করতেও এই ডিস্ক ব্যবহার করা হতো। এ ডিস্কে ব্লু লেজার (আসলে বেগুনি লেজার) রশ্মি দিয়ে তথ্য পড়ার কাজ হয়। ডিভিডির লাল লেজার রশ্মির চেয়ে ব্লু-রে ডিস্কে আরও বেশি ঘনত্বে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

১২ সেন্টিমিটার (৪.৭ ইঞ্চি) ব্যাসের ও ১.২ মিলিমিটার (১ ইঞ্চির ১৬ ভাগের ১ ভাগ) পলিকার্বনেট ডিস্কে তৈরি হয় এই ব্লু-রে ডিস্ক। প্রচলিত ব্লু-রে ডিস্কের একেকটি স্তরে ২৫ গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। দুই স্তরের ডিস্কে ৫০ গিগাবাইট, তিন স্তরে ১০০ গিগাবাইট ও চার স্তরের ব্লু-রে ডিস্কে ১২৮ গিগাবাইট তথ্য ধারণ করা যায়। ব্লু-রে ডিস্ক ফরম্যাট ব্লু-রে ডিস্ক অ্যাসোসিয়েশন উদ্ভাবন করে। সনি ২০০০ সালের অক্টোবরে ব্লু-রে ডিস্ক প্লেয়ারের নমুনা (প্রটোটাইপ) তৈরি করে। এরপর এর ধারাবাহিক উন্নয়ন চলতে থাকে।