মার্ক–১ কম্পিউটার তৈরিতে হার্ভার্ড ও আইবিএমের চুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) ‘জায়ান্ট ব্রেইন’ নামে পরিচিত মার্ক–১ কম্পিউটার তৈরির চুক্তি করে।

মার্ক–১ কম্পিউটারের একাংশউইকিমিডিয়া

৩১ মার্চ ১৯৩৯  
মার্ক–১ কম্পিউটার তৈরিতে হার্ভার্ড ও আইবিএমের চুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) ‘জায়ান্ট ব্রেইন’ নামে পরিচিত মার্ক–১ কম্পিউটার তৈরির চুক্তি করে। এটি আইবিএমের অটোমেটিক সিকোয়েন্স কন্ট্রোলড ক্যালকুলেটর (এএসসিসি) নামেও পরিচিত ছিল। মার্ক–১ প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন হওয়ার্ড এইকেন। অনেকগুলো সুইচের সিরিজ, রিলে, রোটেটিং শ্যাফটস ও ক্লাচের সমন্বয়ে তিনি এই যন্ত্র উন্নয়নের মূল ধারণা দিয়েছিলেন। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৪ সালের ৭ আগস্ট মার্ক-১ কম্পিউটার চালু হয়। হার্ভার্ড মার্ক–১ যন্ত্রটিকে সাধারণ কাজের জন্য প্রথম দিককার তড়িৎ–যান্ত্রিক কম্পিউটার হিসেবে ধরা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হয়।  

স্বয়ংক্রিয় টাইপ রাইটারসহ (ডানে) মার্ক–১ কম্পিউটার
উইকিমিডিয়া

মার্ক–১ কম্পিউটারে সাড়ে সাত লাখ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি কাগজের টেপ থেকে নির্দেশনা এবং পাঞ্চকার্ড থেকে উপাত্ত গ্রহণ করত। এটি চালাতে ৩.৭ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ লাগত। মার্ক–১ কম্পিউটারের দৈর্ঘ্য ছিল ৫১ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও উচ্চতা ছিল ২ ফুট। এর ওজন ছিল ৪,২৮৪ কেজি বা প্রায় ৫ টন।

তোশিবার ডিভিডি প্লেয়ার
সংগৃহীত

৩১ মার্চ ২০০৬
জাপানে তোশিবার প্রথম এইচডি ডিভিডি প্লেয়ার
ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা তোশিবা প্রথম এইচডি ডিভিডি (হাই ডেফিনেশন ডিজিটাল ভার্সেটাইল ডিস্ক) জাপানের বাজারে ছাড়ে। তখন এর দাম ছিল ৯৩৪ মার্কিন ডলার। এর কয়েক দিন পর ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও এ পণ্য ছাড়ে তোশিবা। যুক্তরাষ্ট্রে দুটি মডেলের এইচডি ডিভিডি প্লেয়ারের দাম ছিল ৪৯৯ ও ৭৯৯ ডলার। এই প্লেয়ারে সনিসহ বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি ডিভিডি চালানো যেত।

ডিজিটাল তথ্যের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে পালন করা হয় ব্যাকআপ দিবস
উইকিমিডিয়া

৩১ মার্চ ২০০৭
বিশ্ব ব্যাকআপ দিবস উদ্‌যাপন শুরু  
১ এপ্রিল যাতে মানুষ বোকা বনে না যান, সে কথা আগের দিন মনে করিয়ে দিতে ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ বিশ্ব ব্যাকআপ ডে নামে দিবসের উদ্‌যাপন শুরু হয়। এরপর প্রতিবছরই ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ প্রযুক্তি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এই দিবস পালন করছে। ব্যাকআপ ডেতে তথ্য–উপাত্তের নিরাপত্তা, তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও কম্পিউটারের নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়কে সামনে তুলে ধরে সচেতনতা তৈরি করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে একজন ব্যবহারকারীর লেখা একটা বার্তার মাধ্যমে ব্যাকআপ দিবসের সূচনা হয়েছিল। সেই বার্তায় তিনি তাঁদের হার্ডডিস্ক খোয়ানোর কথা লিখেছিলেন। সঙ্গে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে কেউ তাঁদের কম্পিউটারে রাখা তথ্যের ব্যাকআপ রাখার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেব। ২০১১ সালে ইসমাইল জাদুন ডিজিটাল তথ্যের ব্যাকআপ রাখার প্রচারণা শুরু করেন। প্রতিবছর ব্যাকআপ দিবসে তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়টার গুরুত্ব তুলে ধরে নিবন্ধ লেখেন।