সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ

উচ্চগতির ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফাইবার অপটিক সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়। ১৪ দেশের ১৬টি টেলিযোগাযোগ সংস্থা এই নেটওয়ার্কের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করে।

মার্সেই থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এসই-এমই-ডব্লিউই-৪ নেটওয়ার্কমানিচত্র: ফুজিৎসু

২৭ মার্চ ২০০৪
সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ
উচ্চগতির ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফাইবার অপটিক সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়। নেটওয়ার্ক স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ১৪ দেশের ১৬টি টেলিযোগাযোগ সংস্থা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া–মধ্যপ্রাচ্য–পশ্চিম ইউরোপ (এসই–এমই–ডব্লিউই)–৪ নামের এই কনসোর্টিয়াম গঠন করে। ২০০৪ সালের ২৭ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা চুক্তিপত্রে সই করেন। এসই-এমই-ডব্লিউই-৪ সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ থেকে অংশীদার ছিল বাংলাদেশ টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাম বোর্ড (বিটিবিবি, বর্তমানে বিটিসিএল)। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে একটি মাইলফলক হিসেবে ধরা হয় এ চুক্তিকে।

এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ফ্রান্সের মার্সেই থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সাগরের তলদেশে ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেব্‌ল স্থাপন করা হয় এ প্রকল্পে। বাংলাদেশ কক্সবাজারে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়। কেব্‌ল স্থাপনের দায়িত্ব পায় ফ্রান্সের আলকাটেল সাবমেরিন কেব্‌ল ও জাপানের ফুজিৎসু লিমিটেড। প্রতি সেকেন্ডে টেরাবিট গতিতে ডেটা আদান–প্রদান করার লক্ষ্য ছিল এই নেটওয়ার্কের।
কনসোর্টিয়াম গঠনের দুই বছর পর ২০০৬ সালের ২১ মে এই সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্ক চালু হয়। এসই-এমই-ডব্লিউই-৪ সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে যুক্ত দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর, ইতালি, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ফ্রান্স।
সূত্র: প্রথম আলো

বিল গেটস
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

২৭ মার্চ ১৯৭৬
২০ বছর বয়সী বিল গেটস হবিস্টদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন
নিউ মেক্সিকোর অ্যালবুকোয়ারকিউতে অনুষ্ঠিত প্রথম বার্ষিক ওয়ার্ল্ড অ্যালটেয়ার কম্পিউটার কনভেনশনে উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। অ্যালটেয়ার কম্পিউটারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমআইটিএস এই কম্পিউটারের জন্য যন্ত্রাংশ উন্নয়নে একটি দোকান খুলেছিল। ‘পপুলার ইলেকট্রনিকস’ সাময়িকীতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর শৌখিন ইলেকট্রনিকসপ্রেমীদের (হবিস্ট) মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। ২০ বছরের বিল গেটস তখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং অ্যালটেয়ারের জন্য বেসিক প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন।