বেডফোর্ড হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন রোগ ধরা পড়ে। এই সমস্যার কারণে রক্ত জমাট বাঁধার পাশাপাশি রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এতে বুক ধড়ফড়ানি, ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে সময়মতো হাসপাতালে না এলে অ্যাডাম ক্রফটের জীবন সংকটাপন্ন হতে পারত।

ক্রফটের দাবি, অ্যাপল ওয়াচ সতর্কতা না দিলে তিনি হয়তো হাসপাতালে যেতেন না। তিনি জানান, আগেও বিভিন্ন সময় বুকে ‘হালকা ধড়ফড়ানি’ অনুভব করেছেন। তবে অ্যাপল ওয়াচ সেগুলো ধরতে পারেনি। কয়েক মাস এ ধরনের কোনো সমস্যা না হওয়ায় বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

চিকিৎসকেরা ক্রফটকে জরুরি চিকিৎসা শেষে ঘন রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ দিয়েছেন। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এখন তাঁকে নিয়মিত হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

চলতি বছরের শুরুতে অ্যাপল ওয়াচ যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের জীবন বাঁচিয়েছে। ওই কিশোরের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফুসফুসে পানি জমেছিল, যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না নিলে প্রাণঘাতী হতে পারত। অ্যাপল ওয়াচ রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নিখুঁতভাবে শনাক্ত করায় সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় কিশোরটি।
সূত্র: বিবিসি