মুক্তি পেল দ্য টারমিনেটর

জেমস ক্যামেরন পরিচালিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক অ্যাকশন চলচ্চিত্র দ্য টারমিনেটর ১৯৮৪ সালের ২৬ অক্টোবর মুক্তি পায়।

টারমিনেটর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগাররয়টার্স

২৬ অক্টোবর ১৯৮৪
মুক্তি পেল টারমিনেটর চলচ্চিত্র
জেমস ক্যামেরন পরিচালিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক অ্যাকশন চলচ্চিত্র দ্য টারমিনেটর ১৯৮৪ সালের ২৬ অক্টোবর মুক্তি পায়। জনপ্রিয় এই হলিউড ছবিতে ২০২৯ সাল থেকে ১৯৮৪ সালে ফিরে আসে টারমিনেটর। টারমিনেটরের চরিত্রে অভিনয় করেন আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। ভবিষ্যৎ থেকে ফিরে আসা রোবট অর্থাৎ এই সাইবারনেটিক হত্যাকারীর উদ্দেশ্য ছিল সারাহ কনারকে (অভিনেত্রী লিন্ডা হ্যামিলটন) হত্যা করা। দ্য টারমিনেটর ছবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বা এআইয়ের উদাহরণও দেখানো হয়। দ্য টারমিনেটর ছবিতে বিশেষ আবহ ব্যবহার করা হয়েছে কম্পিউটারের সাহায্যে। সঙ্গে ছিল স্টপ-মোশন অ্যানিমেশন কৌশল। মুক্তির দুই সপ্তাহেই রেকর্ড পরিমাণ আয় করে ১০৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের দ্য টারমিনেটর। ৬৪ লাখ মার্কিন ডলারে নির্মিত দ্য টারমিনেটর আয় করেছিল ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।

দ্য টারমিনেটর ছবির পোস্টার

দ্য টারমিনেটর ছবির সাফল্যের পর বেশ কটি সিকুয়েল তৈরি হয়েছে। এগুলো হলো টারমিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে (১৯৯১), টারমিনেটর ৩: রাইজ অব দ্য মেশিন (২০০৩), টারমিনেটর স্যালভেশন (২০০৯), টারমিনেটর জেনেসিস (২০১৫) ও টারমিনেটর: ডার্ক ফেইট (২০১৯)। এ ছাড়া একটি টেলিভিশন সিরিজ, কমিক বই, উপন্যাস ও ভিডিও গেমসও তৈরি হয়েছে টারমিনেটর অবলম্বনে। ২০০৮ সালে টারমিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ইউএস ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে স্থান পায়।

ডগলাস রস
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

২৬ অক্টোবর ১৯৬১
চলচ্চিত্র তৈরিতে প্রথম কম্পিউটারের ব্যবহার
একেবারে প্রথম দিককার সব কাজের উপযোগী ট্রানজিস্টরভিত্তিক কম্পিউটার ছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) টিএক্স-০। এটি ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো সাগা তৈরির প্রোগ্রাম লেখা হয়। এই সাগা হলো একধরনের ভিডিও গেম বা কাহিনিচিত্র, যাতে গেমার একে একে শত্রু নিধন করতে থাকেন। টিএক্স-০ কম্পিউটারের সাগার জন্য লেখা হয়েছিল ৪ হাজার ৯৬ শব্দের প্রোগ্রাম, যা সংরক্ষণ করা হয়েছিল ম্যাগনেটিক কোর স্টোরেজে।
দ্য ওয়েস্টার্ন প্লেলেট নামের এই সাগা এমআইটির শতবর্ষ উদ্‌যাপনে চালানো হয়েছিল। ফিল্মে ১৩ হাজার লাইনের কোড (প্রোগ্রামিং সংকেত) লিখে দ্য ওয়েস্টার্ন প্লেলেটের প্রতিটি বস্তু নাড়াচড়া করানো হয়েছিল। প্রতিটি চরিত্রের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর নির্দেশনা দিতে একগুচ্ছ কোড লেখা হয়েছিল। কিছু কিছু ভুল নির্দেশনাও দেখা গেছে। এখন চলচ্চিত্র নির্মাণে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক। তবে সাগা ছিল কম্পিউটার ব্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও লেখা ফুটিয়ে তোলার একটি উদাহরণ। টিএক্স-০ কম্পিউটারে নির্বাক সাগা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন ডগলাস রস।