৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮২
প্রথম বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র চালু
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে ২৫৫-২৫৭ পার্ল স্ট্রিট ঠিকানায় থমাস আলভা এডিসনের ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র। সিকি বর্গমাইলজুড়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল।

আলভা এডিসনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডায়নামো
সংগৃহীত

এডিসনের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি এডিসন ইলুমিনেটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল।

প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্কেচ
সংগৃহীত

৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৭
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথিকৃৎ ম্যাককার্থির জন্ম
এলআইএসপি প্রোগ্রামিং ভাষাসহ কম্পিউটারবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখা জন ম্যাককার্থি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালটেক ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি এলআইএসপি তৈরি করেন। এটিই কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির জন্য প্রোগ্রাম লেখার প্রথম কম্পিউটার ভাষা। এই সময় তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক ছিলেন। তবে পেশাজীবনের বেশির ভাগ সময় ম্যাককার্থি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। এলআইএসপি ভাষা দিয়ে এআই প্রযুক্তি তৈরি করা বেশ সহজ ছিল।

জন ম্যাককার্থি
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

ম্যাককার্থি ১৯৭১ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব কম্পিউটিং মেশিনারির সম্মানজনক টুরিং পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি কিওটো প্রাইজ (১৯৮৮), গাণিতিক, পরিসংখ্যানিক ও কম্পিউটেশনাল বিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স (১৯৯০), বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কিলন পদক (২০০৩) পেয়েছেন। ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর জন ম্যাককার্থি মারা যান।

গুগলের আসল ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠার (হোম পেজ) নকশা খুবই সরল। কারণ, এইচটিএমএলে গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতার অভিজ্ঞতা কম ছিল
উইকিমিডিয়া

৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮
গুগলের যাত্রা শুরু
আজ গুগলের রজতজয়ন্তী। মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। তখন ব্রিন ও পেজ দুজনই ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছিলেন। ইন্টারনেটে যেকোনো তথ্য খোঁজার কাজ করে দেয় গুগল। এটি এখন এতটাই জনপ্রিয় যে তথ্য অনুসন্ধানের প্রতিশব্দই হয়ে গেছে গুগল।

সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ
উইকিমিডিয়া

২০১৫ সালে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। গুগল অ্যালফাবেট একীভূত হয়ে যায়। ল্যারি পেজ অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পান। আর গুগলের সিইও পদে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন সুন্দর পিচাই। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সুন্দর পিচাই অ্যালফাবেটের সিইও হিসেবে নিয়োগ পান।
সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখন নানা ধরনের সেবা দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে বিশ্ব প্রযুক্তিবাজারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছ। গুগলের পণ্য ও সবার মধ্যে আছে ই-মেইল সেবা জিমেইল, মানচিত্র ওয়েজ ও ম্যাপস, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ক্লাউড, ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ক্রোম, ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব, ওয়ার্কস্পেস, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণের ড্রাইভ, অনুবাদের জন্য ট্রান্সলেট, ছবি রাখার জন্য ফটোজ, ভিডিও কল করার মিট, স্মার্ট বাড়ির জন্য নেস্ট, পিক্সেল স্মার্টফোন, পরিধেয় প্রযুক্তি পিক্সেল ওয়াচ ও ফিটবিট, গান শোনার ওয়েবসাইট ইউটিউব মিউজিক, ভিডিওর জন্য ইউটিউব টিভি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মেশিন লার্নিং এপিআই টেনসরফ্লো, এআই চিপস টিপিইউ ইত্যাদি। যেসব সেবা গুগল এখন বন্ধ করে দিয়েছে, সেগুলো হলো স্ট্যাডিয়া গেমিং, গুগল প্লাস, রিডার, গুগল গ্লাস, প্লে মিউজিক, নেক্সাস, হ্যাংআউটস ও ইনবক্স বাই জিমেইল।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েবসাইটের শীর্ষে আছে গুগল ও ইউটিউব। গুগলের শুরুটা হয়েছিল ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের পিএইচডি কোর্সের গবেষণা প্রকল্প হিসেবে। গবেষণা প্রকল্পের শুরুতে প্রধান প্রোগ্রামার হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্কট হাসান। আদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের প্রোগ্রামিং সংকেত তিনিই লিখেছিলেন। পরর্বতী সময়ে হাসান রোবটবিজ্ঞান পেশা গড়েন।
গুগল সার্চ ইঞ্জিনের নাম রাখা হয়েছিল আসলে গুগোল (googol)। এর অর্থ একের পর ১০০টি শূন্যসহ বিশাল সংখ্যা। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম। বর্তমানে সারা বিশ্বে গুগলের মোট কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। গুগলকে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কোম্পানি হিসেবে বলা হয়।