পানির নিচে থাকা ‘পিরামিড’ ঘিরে রহস্য

সমুদ্রের নিচে থাকা ইয়োনাগুনি মনুমেন্টউইকিমিডিয়া

জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮২ ফুট নিচে রয়েছে ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট। ১৯৮৬ সালে আবিষ্কার হওয়া প্রায় ৯০ ফুট উঁচু বিশাল কাঠামোটিতে ধারালো কোণযুক্ত বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। পিরামিডের আদলে বড় বড় পাথর দিয়ে তৈরি হওয়ায় ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ রয়েছে গবেষকদের। সম্পূর্ণরূপে পাথর দিয়ে তৈরি স্থাপনাটি মানুষের তৈরি বলে মনে করেন অনেকেই।

গবেষকদের তথ্যমতে, পাথর পরীক্ষা করে ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট ১০ হাজার বছরের বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধারণা সত্যি হলে মিসরের পিরামিডের চেয়েও কয়েক হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট। এটি যদি আসলেই কোনো মানবসভ্যতার অংশ হয়, তাহলে মিসরীয় পিরামিড, স্টোনহেঞ্জসহ প্রাচীন কাঠামোর ইতিহাস নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে আমাদের।

একদল গবেষকের ধারণা, পিরামিডের মতো আকারে বড় কাঠামো নির্মাণের ক্ষমতা প্রাচীন মানুষের ছিল। কৃষিকাজ বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এমন কাঠামো তৈরির ক্ষমতা মানুষের বিকশিত হয়েছিল। কোনো উন্নত সভ্যতা হয়তো এমন বিশাল ধাপযুক্ত পিরামিড নির্মাণ করেছিল।

আরেক দল গবেষক মনে করছেন, ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট আসলে একটি প্রাকৃতিক শিলার গঠন। ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট প্রাকৃতিকভাবেই পিরামিডের মতো। সম্প্রতি ইউটিউবার জো রোগানের এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে এই পিরামিড নিয়ে আলোচনা করা হয়। পডকাস্টে প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্লিন্ট ডিবল বলেন, আমি অনেক অদ্ভুত প্রাকৃতিক জিনিস দেখেছি। এখানে আসলে এমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না, যা দেখে মনে হবে এটি কোনো মানুষের তৈরি। তবে হারানো সভ্যতাবিষয়ক বইয়ের লেখক গ্রাহাম হ্যানকক বলেন, ‘আমার কাছে অন্য কিছু মনে হয়। পানির নিচ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, সেই কাঠামোতে স্পষ্টভাবে মানুষের তৈরি সিঁড়ির ধাপ, বারান্দা ও খোদাই করা পাথরের মুখ রয়েছে।’

সূত্র: ডেইলি মেইল