মঙ্গল অভিযানে ইলন মাস্ককে টেক্কা দেবেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস
মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালানোর জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করছেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। মঙ্গল গ্রহে যে করেই হোক মানববসতি তৈরি করতে চান তিনি। সম্প্রতি স্পেসএক্সের তৈরি স্টারশিপ মহাকাশযান ২০২৮ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। তবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারশিপ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের আগেই মঙ্গল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ গ্লেন রকেট। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে নাসার এসকেপড প্রোব নিয়ে যাবে ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেট। এটি ব্লু অরিজিনের প্রথম আন্তগ্রহ ফ্লাইট হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেটে করে প্রাথমিকভাবে মঙ্গল গ্রহে নাসার দুটি প্রোব পাঠানো হবে। বাণিজ্যিক ও আন্তগ্রহ মিশনের জন্য ১৮৮.৫ ফুট লম্বা নিউ গ্লেন রকেটকে বিশেষভাবে নকশাও করা হয়েছে। এই মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নিউ গ্লেন রকেট পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে পেলোড সরবরাহ করবে।
৮ কোটি ডলারের এসকেপড মিশনের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে গবেষণা করা হবে। সৌরবায়ু কীভাবে লাল গ্রহের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে, তা জানা যাবে এই মিশন থেকে। এই উদ্যোগকে বাণিজ্যিক মহাকাশ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসকেপড প্রোব সফলভাবে পরিবহন করতে পারলে বাণিজ্যিকভাবে আন্তগ্রহ ভ্রমণে বড় সাফল্য অর্জন করবে নিউ গ্লেন রকেট।
আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি জাহাজ থেকে নিউ গ্লেন রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণের পর প্রথম পর্যায়ের বুস্টার পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে ব্লু অরিজিনের। পরিকল্পনা সফল হলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট তৈরির লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে যাবে ব্লু অরিজিন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া