মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়ায় যেসব শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে সুনিতা উইলিয়ামসের

সুনিতা উইলিয়ামসরয়টার্স

মাত্র আট দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও নিজেদের মহাকাশযান ফুটো হয়ে হিলিয়াম গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় প্রায় আট মাস ধরে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুনিতা উইলিয়ামস।

সুনিতা উইলিয়ামস বলেন, ‘আমি এখানে অনেক দিন ধরে আছি। এই মুহূর্তে মনে করার চেষ্টা করছি, হাঁটতে কেমন লাগে। আমি এখানে হাঁটছি না, আমি বসতে পারি না। আমি শুতে পারছি না এখানে।’ দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে শারীরিকভাবে বিভিন্ন সমস্যাও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুনিতা উইলিয়ামস।

আরও পড়ুন

গত বছরের ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। বেশ কয়েকবার তাঁদের বহনকারী মহাকাশযান মেরামত করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে দ্রুত মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে বলেছেন।

আরও পড়ুন

নাসার তথ্যমতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকলে নভোচারীদের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। এ কারণে শরীরের মাংসপেশিতে অ্যাট্রোফি নামের সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায়। এমনকি শরীরের তরল পদার্থ ভারসাম্য হারিয়ে দেহের ওপরের অংশে চলে যায়। এর ফলে মুখ ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি নাক বন্ধ ও চোখের ওপর চাপ পড়ে। এর ফলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ায় হৃৎপিণ্ডও ঠিকমতো কাজ করে না।

সূত্র: ডেইলি মেইল ও নাসা