ইস্টার দ্বীপে অজানা প্রাণীর খোঁজ

ইস্টার দ্বীপে উড়ন্ত স্প্যাগেটি দানব বা বাথিফাইসা কনিফেরা প্রাণীরও দেখা মিলেছেশ্মিডিচ ওশান ইনস্টিটিউট

বিখ্যাত তিন গোয়েন্দা সিরিজের ‘কঙ্কাল দ্বীপ’ বইটি অনেকেই পড়েছেন। দ্বীপ নিয়ে ড্যানিয়েল ডিফোর উপন্যাস রবিনসন ক্রুসোর গল্প পড়েও একাকী দ্বীপের রোমাঞ্চের দেখা পান অনেকেই। রোমাঞ্চকর অভিযাত্রার দুনিয়ায় ইস্টার দ্বীপ’ (চিলির একটি দ্বীপ) আলোচিত নাম। ইস্টার দ্বীপে প্রায় এক হাজার দণ্ডায়মান মূর্তি আছে। বিখ্যাত এসব মূর্তি ‘মোয়াই’ নামে পরিচিত। এই দ্বীপের আশপাশে সমুদ্রের নিচে অদ্ভুত সব প্রাণীর খোঁজ পাওয়া গেছে।

দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ইস্টার দ্বীপটি ‘রাপা নুই’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি দ্বীপটির আশপাশে সমুদ্রের নিচে অভিযান চালিয়ে ১৬০টি প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্মিডিচ ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, খোঁজ পাওয়া প্রাণীগুলোর মধ্যে প্রায় ৫০টিই অজানা। এখানে গভীরতম সালোকসংশ্লেষণনির্ভর প্রাণীরও খোঁজ পাওয়া গেছে। প্রাণীটির নাম লেপ্টোসারিস বা বলি প্রবাল। উড়ন্ত স্প্যাগেটি দানব বা বাথিফাইসা কনিফেরা উজ্জ্বল গভীর সমুদ্রের ড্রাগনফিশ নামের দুটো প্রাণীরও দেখা মিলেছে। ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ মিটার পানির নিচে থাকা একটি ডুবো পাহাড়ে এসব প্রাণীর বসবাস।

আরও পড়ুন

চিলির ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী জাভিয়ের সেলানেস বলেন, ‘দুটি অভিযানের সময় আমরা আশ্চর্যজনক আবাসস্থল ও প্রাণীর খোঁজ পেয়েছি। নাজকা ও জুয়ান ফার্নান্দেজ পর্বতমালাসহ মোট ১০টি সামুদ্রিক পর্বতের কাছে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এ গবেষণা চালানো হয়। ছয়টি পর্বতে আগে কখনোই বৈজ্ঞানিক জরিপ পরিচালনা করা হয়নি।’ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞানী ইরিন ই ইস্টন বলেন, ভূপৃষ্ঠের পর্বতের মতো সমুদ্রের পর্বতে স্বতন্ত্র বাস্তুতন্ত্র দেখা যায়। প্রাকৃতিক সম্পদ, অজানা সামুদ্রিক প্রজাতি আর জলবায়ু সম্পর্ক জানতে এ ধরনের গবেষণা নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ দিচ্ছে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স