সূর্যে পৃথিবীর চেয়ে ১০ গুণ বড় সৌরকলঙ্কের সন্ধান
সূর্যের পৃষ্ঠে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় দশ গুণ বড় একটি বিশাল সৌরকলঙ্ক বা সৌরদাগের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশাল এ সৌরকলঙ্ক আগামী কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সৌরশিখার জন্ম দিতে পারে। এসব শিখার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে উজ্জ্বল অরোরা বা রঙিন উত্তরা আলো দেখা যাবে।
১ ডিসেম্বর সূর্যের অ্যাকটিভ রিজিওন ৪২৯৪-৯৬ নামে পরিচিত স্থানে বিশাল এই সৌরকলঙ্কের সন্ধান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সোলার ডায়নামিকস অবজারভেটরি। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, এটি গত দশ বছরে শনাক্ত করা সবচেয়ে বড় সৌরকলঙ্ক। বিশাল এই সৌরকলঙ্কের কারণে আগামী কয়েক দিনে বেশ কিছু শক্তিশালী সৌরশিখা তৈরি হবে। একই সময়ে বিভিন্ন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এক্স ১.৯ মাত্রার অত্যন্ত শক্তিশালী আরও একটি সৌরশিখার তথ্য ধারণ করা হয়েছে। তবে শিখাটি আরেকটি ছোট সৌরকলঙ্ক এআর ৪২৯৫ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
নাসার তথ্য মতে, সৌরশিখার তীব্রতাকে এ, বি, সি, এম এবং এক্স শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। প্রতিটি উচ্চতর শ্রেণি আগেরটির চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। বিভিন্ন সৌরশিখা সরাসরি অরোরা তৈরি করে না। এসব শিখা থেকে করোনাল মাস ইজেকশনের (সিএমই) সম্ভাবনা থাকে। এসব সিএমই সূর্য থেকে নির্গত অত্যন্ত চার্জযুক্ত কণা ও চৌম্বকক্ষেত্রের বিশাল মেঘ। যদি একটি শক্তিশালী শিখার পরে একটি সিএমই পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হয়, তবে তা একটি জিওম্যাগনেটিক ঝড় তৈরি করতে পারে। এর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে পৃথিবীর দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকায় উজ্জ্বল অরোরা দেখা যেতে পারে।
সৌরশিখা হলো সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের একটি তীব্র বিস্ফোরণ। সূর্যের সক্রিয় অঞ্চলে প্রায়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ হয়। এটি আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্স-ক্লাস শিখা সবচেয়ে শক্তিশালী ও পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি