আজ দেখা যাবে আর্সিড উল্কাবৃষ্টি
২০২৫ সালের বিদায়ী মহাজাগতিক ঘটনা হিসেবে আজ দেখা যাবে আর্সিড উল্কাবৃষ্টি। এ বিষয়ে আমেরিকান মেট্রিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট কো–অর্ডিনেটর রবার্ট লুনসফোর্ড বলেন, আকাশপ্রেমীরা প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০টি উল্কা দেখার আশা করতে পারেন। এই উল্কাবৃষ্টি উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়নকাল বা শীতের আনুষ্ঠানিক শুরুর কাছাকাছি সময়ে ঘটে। এ অঞ্চল এখন সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে রয়েছে। শীতকালীন অয়নকাল বছরের দীর্ঘতম রাত নিয়ে আসে। এবার এ সময়ে একটি সরু ও ক্ষীণ অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ থাকবে। ফলে আকাশ অনেক অন্ধকার থাকবে।
আর্সিড উল্কাবৃষ্টি কেবল উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দাদের জন্যই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এর রেডিয়েন্ট বা যে বিন্দু থেকে উল্কা আসছে বলে মনে হয় তা দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ থেকে দেখার মতো যথেষ্ট ওপরে ওঠে না। আর্সিড উল্কার উৎস লিটল ডিপার বা আর্সা মাইনর নক্ষত্রমণ্ডল। এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের তারা কোচাবের কাছাকাছি অবস্থিত।
পৃথিবী যখন ধূমকেতু ৮পি/টাটলের ফেলে যাওয়া ধূলিকণার স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, তখনই এই উল্কাবৃষ্টি ঘটে। এ বিষয়ে লুনসফোর্ড জানান, এবার উল্কার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ, পৃথিবী ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া একটি বিশেষ ধ্বংসাবশেষের স্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাইম অ্যান্ড ডেটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে উল্কাবৃষ্টি দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো আজ ২২ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত। বিশেষ করে ভোর ৪টা থেকে ৫টার দিকে যখন রেডিয়েন্ট পয়েন্টটি আকাশের উঁচুতে থাকবে, তখন উল্কা দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তর দিকে মুখ করে তাকালে এই বৃষ্টি দেখতে পারবেন। আর্সা মাইনর বা ছোট ভালুক নক্ষত্রমণ্ডলের দিক থেকে উৎপন্ন হতে দেখা যাবে। চাঁদ বেশ আগেই আকাশ থেকে সরে যাবে বলে ক্ষীণ উল্কা বেশ স্পষ্ট দেখা যেতে পারে।
উল্কাবৃষ্টি দেখতে শহরের তীব্র আলো বা ধোঁয়াশা থেকে দূরে খোলা মাঠে বা ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্তত ২০-৩০ মিনিট অন্ধকারে থাকুন। ঘণ্টায় ৫-১০টি উল্কা পড়ার কথা থাকলেও ধৈর্য ধরলে হঠাৎ বেশিসংখ্যক উল্কা বা উজ্জ্বল ফায়ারবল দেখার সুযোগ মিলতে পারে।
সূত্র: সিএনএন, টাইম অ্যান্ড ডেট