১৫ মে পর্যন্ত রাতের আকাশে উল্কাবৃষ্টিসহ যেসব চমক দেখা যাবে

বৈশাখ মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের আকাশে উল্কাবৃষ্টিসহ বেশ কিছু চমক দেখা যাবে। তাই খালি চোখে বা ছোট টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারের সাহায্যে সহজেই তারকামণ্ডল দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা। ১৫ মে পর্যন্ত দেশের আকাশে যেসব চমক দেখা যাবে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

সূর্য থেকে পৃথিবী বিপরীত দিকে থাকায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর দেখা যাবে গ্রহাণু ৪ ভেস্তা। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করায় ভেস্তাকে আজ খুবই উজ্জ্বল দেখা যাবে। তুলা রাশিতে অবস্থান করবে গ্রহাণুটি।

দূর থেকে মঙ্গল গ্রহকে একটি বিশাল লোহার লাল বলের মতো মনে হয়। লাল রঙের এই মঙ্গল গ্রহ চাঁদের পাশেই অবস্থান করবে। ফলে বেশ ভালোভাবেই দেখা যাবে।  

চাঁদের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের সংযোগ বা কনজাংশন দেখা যাবে। এ ছাড়াও শুক্র ও নেপচুন গ্রহের সংযোগ দেখা যাবে।

আকাশে বেশ স্পষ্টভাবে মঙ্গলগ্রহ ও এম৪৪ বা বিহাইভ ক্লাস্টার তারকামণ্ডল দেখা যাবে।

সন্ধ্যার পরে আকাশে ভালোভাবে চোখ রাখলেই ইটা অ্যাকোয়ারিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। ভোরের সময় সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি।

রাতের আকাশে শুক্র, শনি, বৃহস্পতি এবং মঙ্গল গ্রহ বেশ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। সন্ধ্যায় দেখা যাবে গিব্বাস মুন। গিব্বাস মুনের সময় চাঁদের পৃষ্ঠের অর্ধেকেরও বেশি আলোকিত থাকে, যা পৃথিবী থেকে ভালোভাবে দেখা যায়। এটি চাঁদের চতুর্থাংশ ও পূর্ণিমার মধ্যবর্তী একটি পর্যায়।

রাতের আকাশে লিরা নক্ষত্রমণ্ডলে লিরিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।

আকাশে সর্বোচ্চ বিপরীত স্থানে দেখা যাবে গ্রহাণু ৯ মেটিসকে। ৯ মেটিস বৃহত্তর মেইন-বেল্ট গ্রহাণুর মধ্যে একটি। এটি সিলিকেট এবং ধাতব নিকেল-লোহা দিয়ে গঠিত। মেটিস গ্রহাণু বেল্টের মোট ভরের মাত্র অর্ধেক শতাংশ ধারণ করে।

সন্ধ্যার আকাশে এম৮৩, এম৯৪, এম৫১, এম১০৪ গ্যালাক্সি দেখা যাবে।

সন্ধ্যার পর থেকে আকাশে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ বেশ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। রাত ২.৫৮ মিনিট থেকে দেখা যাবে শুক্রগ্রহ।

ক্যানিস মাইনর নক্ষত্রপুঞ্জের অংশে প্রোসিয়ন নামের উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা যাবে ।

চাঁদের আশপাশে লাল তারা অ্যান্টারেসকে দেখা যাবে।

রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত বাইনোকুলারের সাহায্যে আকাশে ৭টি গ্রহ দেখা যাবে।

চাঁদ পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বে অর্থাৎ অ্যাফেলিয়ন বিন্দুতে দেখা যাবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ, ইন দ্য স্কাই ও স্কাই ম্যাপস