অবশেষে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে জেফ বেজোসের রকেট

পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে নিউ গ্লেন রকেটছবি: ব্লু অরিজিন

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি রকেট প্রথমবারের মতো পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। দৈত্যকার রকেটটির নাম ‘নিউ গ্লেন’। অনেক জল্পনাকল্পনা আর সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতির পরে রকেটটি ১৬ জানুয়ারি পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। পুনর্ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় নতুন এই রকেটের কারণে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স মহাকাশ অভিযানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আকারে বড় ও ভারী মালামাল মহাকাশে বহন করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে নিউ গ্লেন রকেটটি। ৩২০ ফুট লম্বা রকেটটি যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের সময় ওয়াশিংটনে ব্লু অরিজিনের সদর দপ্তর ও কেপ ক্যানাভেরালে শত শত কর্মী অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে ব্লু অরিজিনের কর্মকর্তা আরিয়েন কর্নেল বলেন, ‘আমরা নিরাপদে কক্ষপথে পৌঁছেছি।’

মহাকাশে পৌঁছানোর পরে ব্লু অরিজিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিউ গ্লেন একটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশ পৌঁছেছে। যদিও মিশনে রকেটের বুস্টার পৃথিবীতে নির্ধারিত জায়গায় ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে শত শত কোটি ডলার খরচের পর নিউ গ্লেনকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালে মহাকাশে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় পাঁচ বছর পর পৃথিবীর কক্ষপথে গেল রকেটটি।

নিউ গ্লেন রকেটটি ব্লু অরিজিনের তৈরি ‘ব্লু রিং’ নামের একটি মহাকাশযান বহন করেছে। এই মহাকাশযান ভবিষ্যতে পেন্টাগন ও অন্যান্য বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করবে ব্লু অরিজিন। নিউ গ্লেনের মাধ্যমে অ্যামাজনের কুইপার স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কও চালু করা হবে। এই নেটওয়ার্ক স্পেসএক্সের স্টারলিংক সেবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স