চাঁদের বুকে কোথায় আছে জাপানের মুন স্নাইপার

মুন স্নাইপারজাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি

গত ১৯ জানুয়ারি চাঁদের বুকে পতাকা স্থাপনকারী পঞ্চম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে জাপান। দেশটির ‘মুন স্নাইপার’ নামের অনুসন্ধানকারী নভোযান সফলভাবে অবতরণ করেছে চাঁদে। অবতরণ সফল হলেও বৈদ্যুতিক সমস্যায় ভুগছে যানটি। যানটির সৌর প্যানেল বিদ্যুৎ উৎপাদন না করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রকৌশলীরা।

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) সভাপতি ইয়ামাকাওয়া হিরোশি অবতরণ সফল হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চন্দ্রপৃষ্ঠে নেমেছি। আমাদের সামনে নতুন পথ উন্মোচিত হয়েছে।’

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির তথ্যমতে, চাঁদের বুকে ‘শিওলি ক্রেটার’ নামের খাদের পাশে অবতরণ করেছে যানটি। জাপানি ভাষায় শিওলি ক্রেটার নামের অর্থ বুকমার্ক। অন্যভাবে শিওলি অর্থ বলতে কবিতাকে বোঝানো হয়। খাদের ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করা যানটির ওজন জ্বালানি ছাড়া ২০০ কেজি। যানটিতে দুটি ছোট রোভার বাহনও রয়েছে। যানটির মাধ্যমে মেয়ার নেক্টারিসের নামের একটি জায়গার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই এলাকা অমৃত সাগর নামে আলোচিত। চাঁদের বিষুবরেখার প্রায় ১৫ ডিগ্রি দক্ষিণে অবস্থিত এই এলাকা।

আরও পড়ুন

চাঁদের বুকে যানটি পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রায় দুই সপ্তাহ তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও অবতরণের পরপরই যানটির সৌর প্যানেল কাজ করছে না। ব্যাটারির মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম যানটির সৌর প্যানেলের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে এটি চিরতরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

জানা গেছে, মুন স্নাইপারের বহন করা ‘এক্সরিজম’ নামে একটি এক্স-রে স্পেস টেলিস্কোপ এরই মধ্যে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে যুক্ত করা হয়েছে। টেলিস্কোপটি থেকে পরীক্ষামূলক ছবিও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ১৪ জানুয়ারি অবতরণের জন্য তৈরি হলেও চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৯৭ মাইল উচ্চতায় কক্ষপথে বৃত্তাকার করে ঘুরতে থাকে যানটি। এরপর ১৯ জানুয়ারি মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে চাঁদের বুকে অবতরণ করে মুন স্নাইপার।

সূত্র: স্পেস ডটকম