একত্রিত হওয়া দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

কৃষ্ণগহ্বরফাইল ছবি: রয়টার্স

কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল বিশাল মাধ্যাকর্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন মহাজাগতিক সত্তা। এই সত্তা যেন সবকিছুকে আটকে রাখে, এমনকি আলোও শুষে নেয়। এবার মহাকাশে একত্রিত হওয়া দুটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, এটিই এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া কৃষ্ণগহ্বর একত্রিত হওয়ার সবচেয়ে বড় ঘটনা। সূর্যের ভরের ১০০ গুণের বেশি বড় দুটি কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সঙ্গে সর্পিলভাবে মিশে নতুন একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করেছে।

লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরির (এলআইজিও) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে প্রায় এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে এই মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছে। দুটি কৃষ্ণগহ্বর একত্রিত হওয়ার সময় শক্তিশালী মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। এলআইজিওর বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে এই তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী চার্লি হো জানান, কৃষ্ণগহ্বরগুলো খুব দ্রুত ঘুরছে বলে মনে হচ্ছে। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের অনুমোদিত সীমার কাছাকাছি এই ঘূর্ণন। কৃষ্ণগহ্বরগুলো প্রথমে একে অপরের চারপাশে ঘুরতে থাকে। ধীরে ধীরে কাছাকাছি এসে এক হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সূর্যের ভরের প্রায় ২২৫ গুণ বেশি ভরের একটি কৃষ্ণগহ্বর তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাভিটি এক্সপ্লোরেশন ইনস্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক মার্ক হ্যানাম বলেন, কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষ মহাবিশ্বের সবচেয়ে হিংসাত্মক ও শক্তিশালী ঘটনা। সংঘর্ষের পর তৈরি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ প্রোটনের চেয়ে হাজার গুণ ছোট হয়ে থাকে। আর তাই যখন এসব কণা পৃথিবীতে পৌঁছায়, তখন তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

সূত্র: ডেইলি মেইল, এনডিটিভি