যে মাছ হাঁটতে পারে

হাঁটতে পারা মাছের গড়নে ভিন্নতা রয়েছেশ্মিট ওশান ইনস্টিটিউট

পানিতে হেঁটে বেড়াতে সক্ষম অদ্ভুত এক সামুদ্রিক মাছের খোঁজ মিলেছে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে। দেশটির সমুদ্রের নিচে থাকা একটি পাহাড়ে দিব্যি হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে বেশ কিছু মাছকে। মাছগুলোর গড়নে বেশ ভিন্নতা রয়েছে। আর তাই যাঁরা বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁরা মাছগুলোকে প্রথম দেখায় এলিয়েন বলে ভুলও করতে পারেন।

নতুন প্রজাতির মাছ আবিষ্কারের বিষয়ে চিলির ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জাভিয়ের সেলানেস জানিয়েছেন, ‘আমরা সমুদ্রের প্রত্যন্ত এলাকায় নতুন কয়েক ডজন প্রাণী খুঁজে পেয়েছি। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের ফালকর নামের জাহাজে চড়ে সমুদ্রে যাত্রা করি আমরা। এরপর সমুদ্রের পাঁচ হাজার ফুটের বেশি নিচে লাইট ও ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত একটি রোবট ডুবোযান পাঠানো হয়। সেই ডুবোযানের মাধ্যমে পানির নিচে নানা ধরনের প্রাণীর খোঁজ মিলেছে। সেখানেই আমরা হেঁটে চলাচল করতে সক্ষম মাছের খোঁজ পেয়েছি।

হাঁটতে পারা মাছের ত্বকের আস্তরণে ছোট সুচের মতো বেশ কিছু সংবেদনশীল অঙ্গ রয়েছে, যা মাছগুলোকে বিভিন্নভাবে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। পায়ের আদলে তৈরি বিশেষ ধরনের পাখনার মাধ্যমে সমুদ্রতলে হাঁটতে পারে এই মাছ। সাঁতারের জন্য বেশি শক্তি প্রয়োজন হয় বলে অভিযোজনের মাধ্যমে এসব মাছ সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায়। এ ধরনের প্রাণীর বাস্তুবিদ্যা, আচরণ ও জীববিজ্ঞানের অন্যান্য দিক সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে।

আরও পড়ুন

ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানী ব্রুস মুন্ডি বলেন, এসব প্রাণী নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষকেরা চারটি ডুবোপাহাড়ের মানচিত্র তৈরি করেছেন। বিশ্বব্যাপী এক লাখের বেশি ডুবোপাহাড় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১ শতাংশের কম পাহাড়ের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ডুবোপাহাড়ের আশপাশে দৈত্যকার স্পঞ্জসহ সামুদ্রিক লিলি, অক্টোপাস আর বিশাল লম্বা বাঁশের প্রবালের দেখা মিলেছে।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক