উড়োজাহাজের সুপারসনিক জেট ইঞ্জিনের প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ

সুপারসনিক জেট ইঞ্জিনের প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ‘সুপারপাওয়ার’ টারবাইনবুম সুপারসনিক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ভবিষ্যতে এ চাহিদা মেটাতে সুপারসনিক জেট ইঞ্জিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমনই ধারণা সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বুম সুপারসনিক। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সুপারসনিক জেট ইঞ্জিনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ‘সুপারপাওয়ার’ নামের বিশেষ ধরনের টারবাইন তৈরি শুরু করেছে।

বুম সুপারসনিক জানিয়েছে, নতুন টারবাইন মূলত সুপারসনিক উড়োজাহাজের জন্য ‘সিম্ফনি’ ইঞ্জিনের প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি একেবারে নতুন নয়। এর আগে থেকেই বিভিন্ন ইঞ্জিন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান শিল্পকারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে এ ধরনের টারবাইন সরবরাহ করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এআই প্রযুক্তির বিস্তার ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় নতুন চাপ তৈরি করায় জেট ইঞ্জিনভিত্তিক সমাধানের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

বুম সুপারসনিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্লেক স্কোল বলেন, তাঁদের সুপারসনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি প্রচলিত বিদ্যুৎ টারবাইনের তুলনায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ, উচ্চ ক্ষমতা এবং নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্ষমতার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। এসব বৈশিষ্ট্য বড় আকারের এআই ডেটা সেন্টারের জন্য কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

বর্তমানে বুম সুপারসনিক বাণিজ্যিক সুপারসনিক উড়োজাহাজ ‘ওভারচার’ উন্নয়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। ফলে ডেটা সেন্টারের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুপারপাওয়ার টারবাইন তৈরির প্রকল্পটি বুম সুপারসনিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: সিনেট