যে ক্লাসের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা সবাই নোবেল পেয়েছেন

নোবেল পুরস্কাররয়টার্স

১৯০১ সালের ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা হয় নোবেল পুরস্কার। বিশ্বজুড়ে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতিবছর সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয়। আর তাই তো প্রতিবছর নোবেল বিজয়ীদের নাম জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে পুরো বিশ্ব। সম্মানজনক এ পুরস্কার পাওয়া বেশ কঠিন হলেও একই ক্লাসের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের সবার নোবেল পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিলেন মাত্র দুজন। চ্যান নিং ইয়াং ও সাং দাও লি নামের দুজন শিক্ষার্থীই ১৯৫৭ সালে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। পরে ১৯৮৩ সালে তাঁদের শিক্ষক এস চন্দ্রশেখর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

এস চন্দ্রশেখর
উইকিমিডিয়া

১৯৪০–এর দশকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পদার্থবিজ্ঞানী এস চন্দ্রশেখর যুক্তরাষ্ট্রে ইয়ারকেস মানমন্দিরে কাজ করতেন। পাশাপাশি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিষয়ে পড়াতেন। ১৯৪৮ সালে সেই ক্লাসেরই শিক্ষার্থী ছিলেন চ্যান নিং ইয়াং ও সাং দাও লি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি জন টি উইলসন বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখরের বিষয়ে বলেন, চন্দ্রশেখর নিজে গাড়ি চালিয়ে মানমন্দির থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে আসতেন। তিনি যে ক্লাসে পড়াতেন, সেখানে মাত্র দুজন শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ক্লাস নেওয়ার জন্য চন্দ্রশেখরকে ৩০০ মাইলের বেশি গাড়ি চালাতে হতো।

বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ছিলেন একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি নক্ষত্রের বিবর্তন, কৃষ্ণগহ্বরের গঠন নিয়ে গবেষণার জন্য আলোচিত। তারকার গঠন ও বিবর্তনের ভৌত প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯৮৩ সালে উইলিয়াম এ ফাউলারের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।

আরও পড়ুন
চ্যান নিং ইয়াংয় ও সাং দাও লি (ডানে)
নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গ

বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখরের ছাত্র সাং দাও লি পরে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি লি-ইয়াং উপপাদ্য ও কণা পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন গবেষণার জন্যও আলোচিত। ১৯৫৭ সালে ৩০ বছর বয়সে লি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। সে সময় তাঁর সহপাঠী চ্যান নিং ইয়াংয়ের বয়স ছিল ৩৫ বছর।

সূত্র: ইন্ডিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস

আরও পড়ুন