সবচেয়ে পুরোনো সৌর ক্যালেন্ডারের খোঁজ মিলেছে

পিলারে খোদাই করা চিহ্নের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে সৌর ক্যালেন্ডারটিছবি: সাই নিউজ

বছর শেষ হলেই আমরা ক্যালেন্ডার বদলে ফেলি। তবে আগের দিনে মাস ও দিনের হিসাব রাখা এত সহজ ছিল না। এ জন্য ব্যবহার করা হতো সৌর ক্যালেন্ডার। বেশ কয়েক বছর গবেষণা শেষে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সৌর ক্যালেন্ডারের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ তুরস্কের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান গোবেকলি টেপে বিশ্বের প্রাচীনতম সৌর ক্যালেন্ডারের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। সেখানকার অনেকগুলো পিলারে খোদাই করা চিহ্নের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে সৌর ক্যালেন্ডারটি।

গোবেকলি টেপেতে মানুষের তৈরি বিশাল স্থাপনাও রয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক আমলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য এই স্থান ব্যবহার করা হতো। সৌর ক্যালেন্ডারের স্থাপনাটি খ্রিষ্টের জন্মের ৯ হাজার ৬০০ থেকে ৮ হাজার ২০০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। গোবেকলি টেপের এই স্থাপনা গত শতাব্দীর শেষের দিকে হারান সমভূমির পাশের পাহাড়ে আবিষ্কৃত হয়। এই এলাকা ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর ওপরের দিকের মাঝখানে অবস্থিত। সাম্প্রতিক খননে এখানে মানুষের বসতি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ মার্টিন সোয়েটম্যান বলেন, এখন পর্যন্ত উন্মোচিত সবচেয়ে পুরোনো স্থাপনা এটি। এখানে ইংরেজি ভি আকৃতির ছবিযুক্ত একটি পিলার রয়েছে। একেকটি ভি আকৃতিকে একটি দিন হিসেবে গণনা করা যায়।

একটি স্তম্ভে ৩৬৫ দিনের একটি সৌর ক্যালেন্ডার রয়েছে। ১২টি চান্দ্র মাস ও ১১টি অতিরিক্ত দিন রয়েছে সেখানে। এই চিহ্নের পাশেই কিছু মূর্তির ছবির গলায় ভি-চিহ্ন দেখা যায়। চাঁদ ও সূর্যের উভয় চক্রকে স্তম্ভে আঁকা হয়েছে। চাঁদের বিভিন্ন পর্যায় ও সূর্যের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে মাস ও দিনের হিসাব রাখার সুযোগ থাকায় এটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম সৌর ক্যালেন্ডার বলা হচ্ছে।

সূত্র: সাই নিউজ