প্রথমবারের মতো হুইলচেয়ারে মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন জার্মানির এক প্রকৌশলী

প্রথম হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী হিসেবে মহাকাশে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে মাইকেলা বেন্টহাউস (বাঁয়ে)ছবি: ব্লু অরিজিন

মহাকাশ ভ্রমণের ইতিহাসে নতুন ও গৌরবময় এক অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো হুইলচেয়ারে মহাকাশে যাচ্ছেন জার্মানির অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী মাইকেলা বেন্টহাউস। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ব্লু অরিজিনের পরবর্তী নিউ শেপার্ড ৩৭ মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সিতে কর্মরত মাইকেলা ২০১৮ সালে একটি মাউন্টেন বাইকিং দুর্ঘটনার শিকার হন। এরপর থেকে তিনি চলাচলের জন্য হুইলচেয়ারের ওপর নির্ভরশীল। দুর্ঘটনার পর তিনি ভেবেছিলেন মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন হয়তো চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। তবে হার না–মানা এই প্রকৌশলী বর্তমান প্রযুক্তির সহায়তায় প্রমাণ করতে চলেছেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মহাকাশ জয়ের পথে আর বাধা নয়।

ব্লু অরিজিনের তথ্যমতে, মিশন এনএস-৩৭ ব্লু অরিজিনের একটি ঐতিহাসিক মিশন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের লঞ্চ সাইট ওয়ান থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। শুরুতে গত ১৮ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণের কথা থাকলে আবহাওয়ার গোলযোগের জন্য পরবর্তী উৎক্ষেপণ সময় এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

নিউ শেপার্ড মহাকাশযান মূলত সাব-অরবিটাল ফ্লাইটের জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১১ মিনিটের এই যাত্রায় অভিযাত্রীরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওপর থেকে গ্রহের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি কয়েক মিনিট মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা ওজনহীনতা অনুভব করবেন। মাইকেলার সঙ্গে এই মিশনে আরও পাঁচজন যাত্রী থাকবেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্পেসএক্স নির্বাহী হ্যান্স কোনিগসম্যান এবং পদার্থবিদ জয় হাইড।

বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণের ভবিষ্যৎ ব্লু অরিজিন তাদের নিউ শেপার্ড রকেটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৮০ জনেরও বেশি মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। তবে মাইকেলা বেন্টহাউসের এই যাত্রাটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। মাইকেলার এই অভিযান মহাকাশ ভ্রমণে ‘অ্যাকসেসিবিলিটি’ বা সবার সমান সুযোগের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে।

সূত্র: স্পেস ডটকম