২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির দাবি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ (মাঝে)ছবি: সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। আর তাই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কর অব্যাহতির সুযোগ ২০৩১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের ৫০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বৃদ্ধির জন্য ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা চালু রাখা প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে করের পরিমাণ মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশের কম। আর তাই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা আগের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমরা কমপক্ষে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর কর অব্যাহতির দাবি করছি।’

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করেন। আর তাই এই খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য রয়েছে, তা কর অব্যাহতি সুবিধার কারণেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতদৃষ্টে সরকার মনে করছে, এই শিল্প খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এই খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবেন। এর ফলে এই খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়বে। সুতরাং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা না থাকলে ভবিষ্যতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও বাধাগ্রস্ত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।