মেটাভার্সের ব্যবহার শুরু হলে বাংলাদেশেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে

মেটাভার্স নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার (ডান থেকে দ্বিতীয়)সংগৃহীত

‘মেটাভার্স’ মূলত ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া। এটি এমন ত্রিমাত্রিক দুনিয়া, যেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন। মেটাভার্সের ব্যবহার পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এই প্রযুক্তির ফলে অনলাইনের ভার্চ্যুয়াল জগৎকে মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবী। বর্তমানে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তি অনলাইন গেম খেলার জন্য বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে অফিসের কাজ করার পাশাপাশি খেলা, গানের অনুষ্ঠান, সিনেমা—এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডারও সুযোগ করে দেবে মেটাভার্স। আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন টাওয়ারে মেটাভার্স নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাজীবীদের সংগঠন সিটিও ফোরাম আয়োজিত এ সেমিনারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, মেটাভার্সের বিষয়ে দেশের শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। ইন্টারনেটের গতি দুর্বল থাকলে মেটাভার্সের যুগে ভালো করার সুযোগ থাকবে না। তাই দ্রুতগতির সংযোগ তৈরিতে সরকার কাজ করছে।

সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, ১০ বছর আগে মেটাভার্স একটি ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে এই প্রযুক্তি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আগামী সাত থেকে আট বছরের মধ্যেই আমরা মেটাভার্সের জগতে প্রবেশ করতে পারি।

সিটিও ফোরামের মহাসচিব আরফে এলাহীর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএসডি গবেষণা সহযোগী অ্যান্টনি ক্লেমন্স। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড.বদরুল হুদা খান প্রমুখ।