প্রযুক্তির এই দিনে, ১১ মে
আইবিএমের কম্পিউটার হারায় দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে
আইবিএমের কম্পিউটার হারায় দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। ১৯৯৭ সালের ১১ মে ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত খেলায় কাসপারভ হেরে যান ডিপ ব্লুর কাছে। ফলে ১১ লাখ ডলার চলে যায় আইবিএমের হিসাবে।
১১ মে ১৯৯৭
আইবিএমের কম্পিউটার হারায় দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে
১৯৯৭ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা পরীক্ষা ছিল আইবিএমের (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস) ডিপ ব্লু সুপারকম্পিউটার। দাবায় সেই সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভের সঙ্গে দাবা খেলায় বসানো হয় ডিপ ব্লুকে। মানুষ বনাম যন্ত্রের বুদ্ধির লড়াই দেখেছিল গোটা দুনিয়া। প্রথম ম্যাচে জয় মানুষের। দাবার চালে কাসপারভ হারিয়ে দেন ডিপ ব্লুকে। কিন্তু ১১ মে ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত খেলায় কাসপারভ হেরে যান ডিপ ব্লুর কাছে। ফলে ১১ লাখ ডলার চলে যায় আইবিএমের হিসাবে। শুধু তাঁকে হারানোর জন্যই এই কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে বলে কাসপারভ আইবিএমকে দোষারোপ করেন। মানুষ বনাম যন্ত্রের এই দাবা খেলার পর্যবেক্ষকেরা সে সময় বলেছিলেন, ডিপ ব্লুর অতিদ্রুত চাল দেওয়া কাসপারভকে হতাশাগ্রস্ত করেছিল। তবে পর্যবেক্ষকদের আশা ছিল, কাসপারভ অপ্রচলিত চাল দিয়ে দাবার বোর্ডে কুপোকাত করবেন ডিপ ব্লুকে।
১১ মে ১৯৭৯
হিসাব কষার প্রোগ্রাম ‘ভিজিক্যালক’
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ পরীক্ষার্থী ড্যানিয়েল ব্রিকলিন এবং কম্পউটার প্রোগ্রামার রবার্ট ফ্র্যাংকস্টোন প্রথমবারের মতো ‘ভিজিক্যালক’ নামের একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম সবার সামনে প্রদর্শন করেন। অ্যাপল টু কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয় এই প্রোগ্রাম। ভিজিবল ক্যালকুলেটর (ভিজিক্যালক) প্রোগ্রামটি স্প্রেডশিটে হিসাব কষার কাজে ব্যবহৃত হতো। ভিজিক্যালক পার্সোনাল কম্পিউটারকে ব্যবসার কাজের উপযোগী করে তোলে। ভিজিক্যালক ব্যাপক সাফল্য পায়। প্রথম বছরেই এই সফটওয়্যারের ১ লাখ কপি বিক্রি হয়।
১১ মে ১৯৯৯
এল সনির আইবো রোবট
জাপানি শব্দ আইবো মানে হলো সঙ্গী। সনির তৈরি কুকুরাকৃতির রোবট আইবোর মানে হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স রোবট। ১৯৯৯ সালের ১১ মে সনি আইবো নামে রোবট তৈরি করা শুরু করে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সনি প্রতিবছরই নতুন মডেলের আইবো তৈরি করে এবং বাজারে ছাড়ে। আইবো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পৃথিবীজুড়েই। পোষা কুকুরের মতোই আচরণ এবং মালিকের সঙ্গে খেলাধুলা করত আইবো।
আইবো তৈরি করেছিল সনির ডিজিটাল ক্রিয়েচার্স ল্যাব, সঙ্গে ছিলেন জাপানি তড়িৎ প্রকৌশলী তোশিবা দোই।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি ও কম্পিউটার হোপ