অনলাইনে বই বিক্রির ওয়েবসাইট রকমারি চালু

ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে বই বিক্রির উদ্যোগ রকমারি ডটকম চালু করে অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস।

বই সরবরাহের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেরকমারি ডটকমের সৌজন্য

১৯ জানুয়ারি ২০১২
অনলাইনে বই বিক্রির ওয়েবসাইট রকমারি চালু
ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে বই বিক্রির উদ্যোগ রকমারি ডটকম চালু করে অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস। ক্রেতার হাতে বই পৌঁছানোর পর দাম পরিশোধের (ক্যাশ অন ডেলিভারি) সুযোগ দেয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট রকমারি।

শুরুতে ১০ হাজার বইয়ের তালিকা ছিল রকমারিতে। বর্তমানে এই তালিকায় বইয়ের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। বইয়ের পাশাপাশি শিশুপণ্য, স্টেশনারি, ইলেকট্রনিক পণ্য, অর্গানিক খাদ্য, ঘর–গেরস্তালির যন্ত্রপাতি, গ্যাজেট বিক্রি করে রকমারি।

রকমারির প্রতীক

রকমারির মূল প্রতিষ্ঠান অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক দুই প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান ও আবুল হাসান। অন্যরকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১০ সালে আমি, আবুল হাসান এবং আরও কয়েকজন মিলে ক্যারিয়ার ক্লাব নামে লিংকডইনের মতো একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করি। তবে সেটিতে আমরা ব্যর্থ হই। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় প্রথম আলোর সঙ্গে ক্রিকপল নামে অনলাইন কুইজ প্রোগ্রাম তৈরি করি। সেটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। আমরা আবার ওয়েবভিত্তিক নতুন উদ্যোগে আগ্রহ ফিরে পাই। সেখান থেকে রকমারি ডটকম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু।’
রকমারি শুরু হয়েছিল ১০–১২ জন কর্মী নিয়ে। এখন গড়ে ৩৫০ জন কর্মী কাজ করেন এই প্রতিষ্ঠানে। ফেব্রুয়ারি মাসে, অর্থাৎ বইমেলার সময় এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।

বই রাখার জন্য রাজধানীর মতিঝিলে রকমারির নিজস্ব জায়গা রয়েছে
রকমারির সৌজন্যে

চালু হওয়ার পরপরই পরিচিত কয়েকজন বইয়ের অর্ডার দিয়েছিলেন বলে জানান মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, এর কিছুদিন পর প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রকমারিতে অর্ডার বাড়তে শুরু করে। তিনি জানান, ২০১২ সালে পুরো এক বছরে যে পরিমাণ বই রকমারিতে বিক্রি হয়েছে, এখন এক দিনে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ বই বিক্রি করে রকমারি ডটকম।

লিসার সঙ্গে স্টিভ জবস। ১৯৮৩
সংগৃহীত

১৯ জানুয়ারি ১৯৮৩
লিসা কম্পিউটার নিয়ে এল অ্যাপল
১৯৭৮ সালে লিসা কম্পিউটার তৈরির কাজ শুরু করে অ্যাপল। পাঁচ বছর পর ১৯৮৩ সালের ১৯ জানুয়ারি পৃথিবীর প্রথম ছবিভিত্তিক নির্দেশনা, অর্থাৎ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (জিইউআই) সুবিধা দিয়ে লিসা কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে অ্যাপল। এতে মোটোরোলা ৬৮০০০ সিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটার, যার অভ্যন্তরে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ছিল। স্টিভ জবস লিসা প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। প্রথমে লিসা শব্দের পূর্ণরূপ ছিল লোকাল ইন্টেগ্রেটেড সিস্টেম আর্কিটেকচার। যদিও পরে স্টিভ জবস স্বীকার করেন, লিসা নামটি তাঁর মেয়ে লিসা নিকোল ব্রেনন্যানের জন্য রাখা হয়েছিল।

জিইউআই সুবিধার প্রথম কম্পিউটার অ্যাপল লিসা
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

অ্যাপলের লিসার দাম ছিল ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে কাজ করতে অন্য নির্মাতার তেমন কোনো ভালো সফটওয়্যার ছিল না। আবার অ্যাপল টু কম্পিউটারের সফটওয়্যারও এতে খাপ খেত না। ফলে লিসার বিক্রি কমে যায়। ১৯৮৫ সালে লিসাকে ম্যাকিন্টোশ এক্সএল নামে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হয়। লিসার চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয় এক্সএল কম্পিউটারের দাম। বিক্রি বাড়তে থাকলেও ম্যাক এক্সএলের উৎপাদন ১৯৮৬ সালে বন্ধ করে দেয় অ্যাপল। লিসার গল্প সেখানেই ফুরিয়ে যায়।

তিন মডেলের ব্ল্যাকবেরি
উইকিমিডিয়া

১৯ জানুয়ারি ১৯৯৯
ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনের শুরু
ব্ল্যাকবেরি নামে স্মার্টফোন ও সংশ্লিষ্ট অনলাইন পরিষেবা বাজারে আনে কানাডার প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন মোশন বা রিম (পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকবেরি লিমিটেড)। নিরাপদ যোগাযোগ ছিল ব্ল্যাকবেরির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি বেশি পরিচিতি পেয়েছিল এর কি–বোর্ডের জন্য। নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবস্থা ও যোগাযোগের নানা সেবা ছিল ব্ল্যাকবেরির। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে ব্ল্যাকবেরি। তখন পৃথিবীজুড়ে সাড়ে আট কোটি গ্রাহক ছিল ব্ল্যাকবেরির। পরে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস–চালিত স্মার্টফোনের কাছে বাজার হারায় ব্ল্যাকবেরি। ২০১৬ সালে এর গ্রাহক ২ কোটি ৩০ লাখে নেমে আসে। এরপর ব্ল্যাকবেরির বিক্রি কমতেই থাকে।