ব্যাটারির উদ্ভাবক আলেসান্দ্রো ভোল্টার জন্ম

ব্যাটারির উদ্ভাবক আলেসান্দ্রো ভোল্টা ইতালির কোমো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ভোল্টা একই সঙ্গে পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ ছিলেন।

সম্রাট নেপোলিয়নের সামনে ইলেকট্রিক কলাম সূত্র ব্যাখ্যা করছেন আলেসান্দ্রো ভোল্টা (ডানে)। ১৮০১, তেলচিত্রউইকিমিডিয়া

১৮ ফেব্রুয়ারি ১৭৪৫
ব্যাটারির উদ্ভাবক আলেসান্দ্রো ভোল্টার জন্ম
ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী ও ব্যাটারির উদ্ভাবক আলেসান্দ্রো জিসেপিয়া অ্যান্টোনিও অ্যানেসটেসিও ভোল্টা বর্তমান ইতালির কোমো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। আলেসান্দ্রো ভোল্টা একই সঙ্গে পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক ব্যাটারি উদ্ভাবন করেন এবং মিথেন গ্যাস আবিষ্কার করেন। তিনি ১৭৯৯ সালে ভোলাটিক পাইল উদ্ভাবন করেছিলেন। এই উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ভোল্টা প্রমাণ করেছিলেন, রাসায়নিকভাবেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

আলেসান্দ্রো ভোল্টা
উইকিমিডিয়া

নিজের উদ্ভাবন দিয়ে ভোল্টা ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের মন জয় করেছিলেন। নেপোলিয়ন ভোল্টাকে তাঁর উদ্ভাবন প্রদর্শনের জন্য ইনস্টিটিউট অব ফ্রান্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভোল্টা তাঁর জীবনজুড়ে সম্রাটের সান্নিধ্য পেয়েছেন। পেয়েছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। ভোল্টা প্রায় চার দশক ধরে প্যাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীক্ষাধর্মী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

কোমো জাদুঘরে রক্ষিত ভোল্টা ব্যাটারি
উইকিমিডিয়া

ভোল্টার আরও উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও আবিষ্কারগুলো হলো বিদ্যুৎকোষ, ক্যাপাসিট্যান্স নীতি, ভোল্ট, ভোল্টেজ, ভোল্টমিটার, ভোল্টা পটেনশিয়াল ও ভোল্টা পিস্তল। তিনি স্থিরবিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র ইলেকট্রোফোরাসের উন্নয়ন ঘটান এবং যন্ত্রটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ১৮২৭ সালের ৫ মার্চ ভোল্টা মারা যান।

কম্পিউটারল্যান্ডের একটি দোকানের সামনে বিল মিলার্ড (ডানে)
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
কম্পিউটারল্যান্ড: খুচরা কম্পিউটার বিক্রির সবচেয়ে বড় চেইন শপ চালু
ডাকযোগে ক্রেতাদের চাহিদা পেয়ে পরিবেশকদের মাধ্যমে আইএমএসএআই ৮০৮০ কম্পিউটার বিক্রিতে সফলতা পায় আইএমএস অ্যাসোসিয়েটস। এই সফলতা থেকে আইএমএসএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিল মিলার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে কম্পিউটার বিক্রির খুচরা দোকান চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে কম্পিউটার শ্যাক, পরে ১৯৭৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নিউ জার্সির মরিসটাউনে কম্পিউটারল্যান্ড নামে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি দোকান খোলেন তিনি। রেডিও শ্যাকের মামলার কারণে কম্পিউটারল্যান্ড নামেই খুচরা কম্পিউটার বিক্রির এই চেইন শপ চলতে থেকে। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝিতে কম্পিউটারল্যান্ড কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানে কম্পিউটারল্যান্ডের ৮০০ দোকান চালু ছিল। বিল মিলার্ড ১৯৮৬ সালে কম্পিউটারল্যান্ডে তাঁর শেয়ার বিক্রি করে দেন এবং সাইপ্যান দ্বীপে অবসরযাপনে চলে যান। রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে ২০১১ সালে মিলার্ড কেম্যান দ্বীপে স্থানান্তরিত হন।