প্রযুক্তির এই দিনে: ১৪ ফেব্রুয়ারি
ইউটিউব চালু হলো
অনলাইনে ভিডিও দেখা ও আদান-প্রদানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব চালু হয়। পেপ্যালের তিন সাবেক কর্মী স্টিভেন চেন, চ্যাড হারলি ও জাভেদ করিম ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫
ইউটিউব চালু হলো
অনলাইনে ভিডিও দেখা ও আদান-প্রদানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব চালু হয়। পেপ্যালের তিন সাবেক কর্মী স্টিভেন চেন, চ্যাড হারলি ও জাভেদ করিম বতর্মানে গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ব্রুনোতে ইউটিউবের সদর দপ্তর।
সমগ্র পৃথিবীতে ভিডিও দেখা ও সম্প্রচারের ধারণা পাল্টে দিয়েছে ইউটিউব। এখন প্রতি মাসে ২৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন মাধ্যমটির। সবাই মিলে প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘণ্টার বেশি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত হিসাবে ইউটিউবে আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ কোটি ভিডিও রয়েছে।
২০০৬ সালের অক্টোবরে ১৬৫ কোটি মার্কিন ডলারে গুগল ইউটিউব কিনে নেয়। গুগল কেনার পর ইউটিউবের মূল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যমেও ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটতে থাকে। মোবাইল অ্যাপ, নেটওয়ার্ক টেলিভিশন এবং অন্য মাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাওয়ানের সুবিধা যোগ হয় ইউটিউবে। মিউজিক ভিডিও, ভিডিও ক্লিপস, সংবাদ, স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, গান, প্রামাণ্যচিত্র, ট্রেলার, সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ স্ট্রিমিং), ভিডিও ব্লগ (ভ্লগস) ইত্যাদি নানা ধরনের ভিডিও–নির্ভর আধেয় বা কনটেন্ট প্রকাশের সুযোগ রয়েছে ইউটিউবে। বেশির ভাগ ভিডিও একক ব্যক্তি তৈরি করে প্রকাশ করেন ইউটিউবে। তাঁদের ইউটিউবার বলা হয়। কখনো কখনো ইউটিউবাররা বড় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা পান। এমনকি ডিজনি, প্যারামাউন্ট, এনবিইসিইউনিভার্সাল, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মতো প্রতিষ্ঠিত প্রযোজনা সংস্থাও দর্শক টানতে ইউটিউবে নিজেদের চ্যানেল খুলেছে। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট বর্তমানে গুগলের মালিক।
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮১৯
টাইপরাইটারের উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার শোলজের জন্ম
টাইপরাইটার এবং প্রথম কোয়ারটি (QWERTY) কি–বোর্ডের উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলজ যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার মুরসবার্গে জন্মগ্রহণ করেন।
ইংরেজি টাইপ করার জন্য শোলজের কোয়ারটি কি–বোর্ড এখনো সারা বিশ্বে ব্যবহার করা হচ্ছে। শোলজ সম্পাদক, মুদ্রক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি মুদ্রক, পরে বেনডার’স সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শোলজ। ১৮৪৮ থেকে ১৮৪৯ ও ১৮৫৬ থেকে ১৮৫৭—দুই দফায় তিনি উইসকনসিনের সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন।
স্যামুয়েল ডব্লিউ সোল, চার্লস এফ ক্লেইনস্টাবার ও কার্লোস গ্লিবেনের সঙ্গে অংশীদারত্বে ক্রিস্টোফার শোলজ সংখ্যা ছাপানোর একটি মুদ্রণযন্ত্র তৈরির উদ্যোগ নেন। কিন্তু সেই যন্ত্রের পেটেন্ট স্বত্বের দাবিদার বিশ্বব্যাপী তখন অনেকেই ছিলেন। তবে অন্য যন্ত্রগুলো বাজারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। শোলজদের যন্ত্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলে বাজারে। সংখ্যা ছাপানোর ‘নাম্বারিং মেশিন’–এর সফলতার পর শোলজ আরও যন্ত্র তৈরির কথা ভাবেন। জার্মান ঘড়ি নির্মাতা ম্যাথিয়াস শুয়ালবাখের মিলে ১৮৬৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইংরেজি বর্ণমালা, সংখ্যা, মৌলিক চিহ্নসহ একটি যন্ত্রের মডেল তৈরি করে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে অক্ষর টাইপ করার এই যন্ত্র দ্রুতই সবার নজর কাড়ে। ১৮৬৮ সালের ২৩ জুন টাইপরাইটারের পেটেন্ট স্বত্বের আবেদন করা হয়। টাইপরাইটারে দ্রুত লেখার জন্য কোয়ারটি কি–বোর্ড লেআউটও শোলজের উদ্ভাবন। আরও কিছু উন্নয়নের পর শোলস অ্যান্ড গ্লিবার্ড টাইপরাইটার নামে ১৮৭৪ সালের ১ জুলাই এই যন্ত্র বাজারে ছাড়া হয়। ১৮৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান ক্রিস্টোফার শোলজ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪
সিটিআর থেকে আইবিএম নামকরণ
নথি সংরক্ষণ ও হিসাব কষার যন্ত্র নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান দ্য কম্পিউটিং–ট্যাবুলেটিং–রেকর্ডিং কোম্পানির নাম বদল করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) করপোরেশন রাখা হয়। ১৯১১ সালে সিটিআর নিউইয়র্কের অ্যান্ডিকটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের হাজিরা সময় রক্ষণ যন্ত্র, মাংস কাটার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ও পাঞ্চ কার্ডের যন্ত্রপাতি তৈরি করত। আইবিএম নামকরণের পর প্রতিষ্ঠানটি ক্যালকুলেটর ও কম্পিউটার নির্মাণ শুরু করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬
মচলি ও এককার্ট নিয়ে এলেন এনিয়াক
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় জন মচলি ও জে প্রেসপার এককার্ট প্রথমবারের মতো বহুপ্রতীক্ষিত এনিয়াক কম্পিউটার প্রদর্শন করেন। এনিয়াক প্রতি সেকেন্ড ৫ হাজার নির্দেশ সম্পাদন করতে পারত। সেই সময়ের অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে এনিয়াক ছিল এক হাজার গুণ দ্রুতগতির। আকারে-প্রকারেও ছিল আকর্ষণীয়। এনিয়াক কম্পিউটারে ছিল ১৮ হাজার ভ্যাকুয়াম টিউব। দেড় হাজার বর্গফুট জায়গা লাগত এটি রাখতে। আর এর ওজন ছিল ৩০ টন।