ইন্টারনেটকে কখনোই বন্ধ করা যাবে না। কারণ, এটা এখন মৌলিক মানবাধিকার। তাই এর যৌক্তিক ব্যবহার বাড়াতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তরুণ, আমলা ও রাজনীতিকদের আগ্রহ কম। আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। ইন্টারনেটের মালিক কেউ না, ইন্টারনেট সবার। আইন নয়, গাইডলাইন ও সচেতনতা বাড়িয়ে ইন্টারনেটে সুরক্ষা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ১৯তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বহুপক্ষীয় ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’ শীর্ষক এ সংলাপে বক্তারা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনগণের অধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা—এই দুটো বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল গত সরকার। এটাই ছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মানুষকে জব্দ করার বড় অস্ত্র।
বিআইজিএফ চেয়ারপারসন আমিনুল হাকিমের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স অ্যানালিস্ট সুবহা শামারুখ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার, বিআইজিএফের মহাসচিব এম এ হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন আমিনুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিল-উর-রহমান। অনুষ্ঠানে আরও কথা বলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স অ্যানালিস্ট সুবহা শামারুখ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল–র শারমিন খান, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্যানেল আলোচনায় ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ ব্যর্থ একটা আইন ছিল উল্লেখ করে বলেন, জনগণের অধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা এই দুটো বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল বিগত সরকার। এটাই ছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মানুষকে জব্দ করার বড় অস্ত্র।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স হলে ১৯তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম, ঢাকা-২০২৪ ‘বহুপক্ষীয় ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খলিল–উর–রহমান বলেন, আইন নয়, গাইডলাইন ও সচেতনতা বাড়িয়ে ইন্টারনেটে সুরক্ষা সম্ভব।
খলিল-উর-রহমান আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটকে কখনোই বন্ধ করা যাবে না। কারণ, এটা এখন মৌলিক মানবাধিকার। তাই এর যৌক্তিক ব্যবহার বাড়াতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তরুণ, আমলা ও রাজনীতিকদের আগ্রহ কম। আমাদের এদিকটায় একটু নজর দিতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ইন্টারনেটের মালিক কেউ না। ইন্টারনেট সবার।
সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ ফান্ড) নিয়ে খলিল-উর-রহমান বলেন, ‘দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবার জন্য এই ফান্ড ব্যয় করা হয়। কারও যদি এ–সংক্রান্ত কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।’
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আইন নয়, সচেতনতা দিয়ে এই গ্লোবাল ভিলেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদেরই ইন্টারনেটে করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। ইন্টারনেট কোনো প্রযুক্তি নয়, ইন্টারনেট আমাদের ডিজিটাল রাইটস। কোনো সরকার যেন আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইজিএফের মহাসচিব এম এ হক অনু।
‘আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ওপর কোনো সভারেন্টি নেই’
বিগত সরকারের মতো মেটার কাছ থেকে কোনো ব্যক্তির পোস্ট ডিলিট করা কিংবা নাগরিক হয়রানির কোনো তথ্য চায় না সরকার। কেবল ক্রিপ্টোকারেন্সি কিংবা আর্থিক জালিয়াতের ক্ষেত্রে তা চায়। নাগরিক আপত্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে বেশ কিছু বিষয় সংশোধিত হয়েছে। তবে যে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। সময় অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে।
////তিনি//// জানান, দেশে সিডিএন সার্ভার নেই, ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন সার্ভার নেই। ফলে আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ওপর কোনো সভারেন্টি নেই।