বদলে যাচ্ছে মুঠোফোনে কলের ধরন, আসছে ত্রিমাত্রিক ইমারসিভ অডিও

নকিয়ার সিইও পেক্কা লুন্ডমার্করয়টার্স

ইমারসিভ অডিও ও ভিডিও নামে নতুন প্রযুক্তির ফোনকল করার প্রথম অভিজ্ঞতা নিয়েছেন নকিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেক্কা লুন্ডমার্ক। মুঠোফোন নির্মাতা ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান নকিয়ার ইমারসিভ অডিও ও ভিডিও প্রযুক্তি ত্রিমাত্রিক শব্দের সঙ্গে কলের গুণগতমান বেশ উন্নত করে। ফোনের দুই প্রান্তের কথোপকথনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কল করলে মনে হবে না মুঠোফোনে কথা বলছেন, সরাসরি অন্য পাশের মানুষটি যেন কানের কাছে এসে কথা বলছে—এমন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। পশ্চিমা দুনিয়ায় এখন ইমারসিভ প্রযুক্তি নিয়ে নানা গবেষণা দেখা যাচ্ছে। দৃষ্টি ও শ্রবণ মাধ্যমে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল অভিজ্ঞতা মেলে ইমারসিভ প্রযুক্তির মাধ্যমে। হেডসেট, গ্লাভস বা গগলসের মাধ্যমে ডিজিটাল ও বাস্তব পরিবেশে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করা যায় এমন প্রযুক্তিতে।

পেক্কা ১৯৯১ সালে প্রথম দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) মোবাইল নেটওয়ার্কে কল করার সময় উপস্থিত ছিলেন। পেক্কা লুন্ডমার্ক বলেন, ‘আমরা ভয়েস কলের ভবিষ্যৎ পরীক্ষা ও প্রদর্শন করছি। বর্তমানের প্রচলিত স্মার্টফোনের কলের ক্ষেত্রে অডিও সংকুচিত করা হয়। নতুন এই প্রযুক্তি ত্রিমাত্রিক অডিও অভিজ্ঞতা দেবে, যেখানে একজন কলার সবকিছু শুনতে পাবেন। বাস্তবে কথা বলার মতো অভিজ্ঞতা মিলবে মুঠোফোনে।’

ফোনকলে প্রথম ত্রিমাত্রিক অডিওর প্রযুক্তি এনেছে নকিয়া
রয়টার্স

নকিয়া টেকনোলজিসের প্রেসিডেন্ট জেনি লুকান্ডার বলেন, এখন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে একমাত্রার মনোফোনিক টেলিফোন ঘরানার অডিও ব্যবহার করা হয়। নতুন প্রযুক্তিতে সরাসরি কথা বলার অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি বলা যায়। ত্রিমাত্রিক ইমারসিভ প্রযুক্তি এখন বাস্তব। মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা, চিপসেট নির্মাতা ও হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকেরা তাদের পণ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে।

প্রথম ত্রিমাত্রিক ইমারসিভ কলের সময় ফোনের অন্য পাশে ফিনল্যান্ডের ডিজিটালাইজেশন ও নিউ টেকনোলজিসের কর্তা স্টেফান লিন্ডস্ট্রোম ছিলেন। পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ-জি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করে কলটি করা হয়। নকিয়া টেকনোলজিসের অডিও রিসার্চের প্রধান জেরি হুওপানিমি বলেন, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ইমারসিভ কল ছাড়াও কনফারেন্স কলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠস্বর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে আলাদা করা যায় এ প্রযুক্তিতে। বেশির ভাগ স্মার্টফোনে কমপক্ষে দুটি মাইক্রোফোন থাকে, যার সাহায্যে এই প্রযুক্তি বাস্তব সময়ে একটি কলের স্থানিক বৈশিষ্ট্য প্রেরণ করতে পারে। এ প্রযুক্তি আসন্ন ফাইভ-জি অ্যাডভান্সড স্ট্যান্ডার্ডের অংশ হিসেবে কয়েক বছরের মধ্যে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে নকিয়া।

সূত্র: রয়টার্স