বাংলাদেশে টিকটকের দূত হলেন এই ৬ তারকা

বাংলাদেশে টিকটকের নিরাপত্তা দূত হিসেবে কাজ করবেন এই ছয় তরুণ তারকাসংগৃহীত

বাংলাদেশের টিকটক ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করতে #সেফারটুগেদার নামের ‘সেফটি অ্যাম্বাসেডর বা নিরাপত্তা দূত’ কর্মসূচি চালু করেছে টিকটক। ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন মাধ্যমের ছয় তরুণ তারকা। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নিজেদের নিরাপত্তা দূতদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিডিওনির্ভর সামাজিক মাধ্যমের অ্যাপটি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে টিকটকের নিরাপত্তা দূত হিসেবে কাজ করবেন অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, সাবেক মিস বাংলাদেশ পিয়া জান্নাতুল, জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা ইফতেখার রাফসান ও লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা। তাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলবেন এবং তাঁদের অনুসারীদের নিরাপদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেবেন।

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় এ ছয় তারকাদের নিয়ে এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। আয়মান সাদিকের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘সব কিছুর ভালো–মন্দ আছে। আমরা ভালো বিষয়গুলো গ্রহণ করব। টিকটক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, নারীদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে হবে। তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীরা আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবে। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খারাপ ভাষায় কথা বলে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের কোনো ক্ষতি করি না।’

আরও পড়ুন

ইফতেখার রাফসান বলেন, ‘আপনার ভালো না লাগলে আমাদের ভিডিও না–ও দেখতে পারেন। কিন্তু খারাপ কথা বলা উচিত নয়। খারাপ কথা শোনার পর অনেকে আর কনটেন্ট তৈরি করতে আগ্রহী হয় না।’ এক প্রশ্নের জবাবে লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা বলেন, ‘খাবারের ভিডিও তৈরির মাধ্যমে আমি আমার দেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বিশ্বজুড়ে। আমি যখন কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করি, তখন বিষয়টি ছিল আরও কঠিন। তাই নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

আরও পড়ুন

এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে টিকটক বাংলাদেশে সেফটি অ্যাম্বাসেডর কর্মসূচি চালু করেছিল। সে সময় টিকটকের সেফটি অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান ও অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।