ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে যা বললেন বিল গেটস
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কাজ থেকে অবসর নিলেও নিজের প্রতিষ্ঠা করা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন ও গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। রাজনীতি ও সমাজসচেতন ব্যক্তি হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি টেসলা, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রম বিষয়ে বিল গেটস বলেন, অন্য দেশের রাজনীতিতে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির নির্বাচনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস জানিয়েছেন, কাকে ভোট দিতে হবে, তা আসলে মাস্কের বলা উচিত নয়। এ মাসের শুরুতে ইলন মাস্ক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে অপসারণের দাবিও তুলেছেন। ইলন মাস্কের এমন সব রাজনৈতিক আচরণ করা উচিত নয়। যে কাজে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন, তার বদলে কে কাকে ভোট দেবেন, তা বলছেন তিনি। যদি কেউ সুপার স্মার্ট হয়, তাহলে তাদের চিন্তা করা উচিত, কীভাবে অন্যকে সাহায্য করা যায়।
ইলন মাস্ক শুধু মতামতই দিচ্ছেন তা নয়, রীতিমতো রাজনৈতিক সমাবেশেও অংশ নিচ্ছেন। জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির পক্ষে প্রচারণা সমাবেশে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যও দিয়েছেন ইলন মাস্ক। জার্মানিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ডিসেম্বরে ইলন মাস্ক জার্মান সংবাদপত্র ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগে নিজের মতামত তুলে ধরে ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’ নামের একটি রাজনৈতিক দলকে আশার শেষ স্ফুলিঙ্গ বলে অভিহিত করেছেন। দলটির নিয়ন্ত্রিত অভিবাসননীতির প্রশংসাও করেন তিনি।
২০২৪ সালে ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছেন। ট্রাম্পের বিজয়ের পর মাস্কের রাজনৈতিক প্রভাব বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলন মাস্ক ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনিক বিভাগ ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা ডজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই বিভাগ সরকারি ব্যয় হ্রাসের জন্য কাজ করছে। তবে ইলন মাস্ক কোনো বিদেশি রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার