চালু হলো দেশের প্রথম ই–পেপার ‘ই–প্রথম আলো’

‘কাগজে যেমন ওয়েবেও তেমন’—এই ধারণা নিয়ে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক পেপার (ই–পেপার) চালু করে প্রথম আলো।

ই–প্রথম আলো

৫ নভেম্বর ২০০৮
চালু হয় দেশের প্রথম ই–পেপার ‘ই–প্রথম আলো’
‘কাগজে যেমন ওয়েবেও তেমন’—এই ধারণা নিয়ে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক পেপার (ই–পেপার) চালু করে প্রথম আলো। ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম আলো প্রকাশের প্রথম দিন থেকেই ইন্টারনেটে ছিল প্রথম আলোর ওয়েবসাইট। মুদ্রিত পত্রিকা যেমন, ওয়েবে হবহু তেমন দেখা যায় ই–প্রথম আলো। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ই–প্রথম আলোর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরদিন ৫ নভেম্বর থেকে ই–প্রথম আলোর বেটা সংস্করণ ইন্টারনেটে পাঠকেরা বিনা মূল্যে পড়তে পেরেছেন। বেটা সংস্করণের ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ই–প্রথম আলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ই-প্রথম আলোর কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা সহযোগিতায় ছিল দেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমএনএইচএস ই সলিউশন লিমিটেড। পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি হয়েছিল ই–প্রথম আলো। ওয়েবে জেপিজি ফরম্যাটের ছবি আকারে পত্রিকার সব পৃষ্ঠাসজ্জা ও সংবাদ রাখা হতো। প্রথম আলোর পর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারও ই–পেপার প্রকাশ করে।
২০১১ সাল থেকে প্রথম আলো নিজস্ব কারিগরি ব্যবস্থাপনায় ই–প্রথম আলো প্রকাশ করে যাচ্ছে। প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান বলেন, ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই থেকে গ্রাহক হয়ে (সাবস্ক্রিপশন করে) ই–প্রথম আলো পড়তে হয়। গ্রাহকেরা প্রতিদিন প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকা, বিশেষ সংখ্যা ও ক্রোড়পত্র পড়তে পারেন। গ্রাহকেরা ই–প্রথম আলোতে আর্কাইভে গিয়ে ২০০৯ সাল থেকে প্রকাশিত সব সংখ্যা পড়তে পারবেন।

ই–পেপারে প্রথম আলোর বিশেষ ক্রোড়পত্র

মাসিক, ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে ই–পেপারের গ্রাহক হওয়া যায়। বর্তমানে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সব সংবাদ ও ছবি ই–প্রথম আলোতে ছবি হিসেবে যেমন পাওয়া যায়, তেমনি সংবাদ টেক্সট আকারেও (ডক ফরম্যাট) পাওয়া যায়। সম্প্রতি নতুন এক সুবিধা চালু হয়েছে প্রথম আলোর ই–সংস্করণে। বিনা মূল্যে বিজ্ঞাপনসহ দিনের প্রকাশিত ই–প্রথম আলো পড়া যাবে। যাঁরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহক হবেন, তাঁরা বিজ্ঞাপন ছাড়া দিনের পত্রিকা, পুরোনো পত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনা পড়তে পারবেন। ই–প্রথম আলোর ঠিকানা: www.eprothomalo.com ও epaper.prothomalo.com।

ইন্টারনেটে ১০ কোটি ওয়েবসাইটের প্রতীকী ছবি
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

৫ নভেম্বর ২০০৬
ইন্টারনেটে ১০ কোটি ওয়েবসাইট
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নেটক্র্যাফট লিমিটিডের তথ্য অনুযায়ী ২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটিতম ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়। ইন্টারনেট দুনিয়ার জন্য এটি একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে ইন্টারনেটে যোগ হয় ২ কোটি ৭৪ লাখ ওয়েবসাইট। আর ২০০৫ সালে যোগ হয় আরও ১ কোটি ৭০ লাখ সাইট। ২০০৪ সালে যখন জরিপ করা হয়েছিল, তখন ছিল পাঁচ কোটি ওয়েবসাইট। ব্লগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার ওয়েবসাইটের কারণে মাত্র দুই বছরে ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে নেটক্র্যাফটের জরিপে বলা হয়। এর কারণ হিসেবে গুগল ও মাইক্রোসফটের বিনা মূল্যে ব্লগ করতে দেওয়ার সেবার উল্লেখ করা হয়। নেটক্র্যাফট ১৯৯৫ সালে যখন প্রথম জরিপ করে তখন ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৯৫৭।

অ্যান্ড্রয়েডের প্রতীক
রয়টার্স

৫ নভেম্বর ২০০৭
অ্যান্ড্রয়েড চালু করল গুগল
মুঠোফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালু করে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড উন্নয়ন করে ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স। যদিও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েডের বেশির ভাগই গুগলের তৈরি। ২০০৭ সালে অ্যান্ড্রয়েড চালুর পর এই অপারেটিং সিস্টেমে চলা প্রথম বাণিজ্যিক স্মার্টফোন তৈরি করে তাইওয়ানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচটিসি। অ্যান্ড্রয়েড–চালিত এইচটিসি ড্রিম বাজারে আসে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে।

বিভিন্ন সময়ে স্টিভ জবস
রয়টার্স

৫ নভেম্বর ২০০৯
দশকের সেরা সিইও স্টিভ জবস
বিশ্বখ্যাত ফরচুন সাময়িকী অ্যাপল কম্পিউটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টিভ জবসকে দশকের সেরা সিইও হিসেবে নির্বাচিত করে। তখন স্টিভ জবসের বয়স ৫৪ বছর। অ্যাপল কম্পিউটারকে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য ফরচুন এই স্বীকৃতি দেয় স্টিভ জবসকে। ১৯৭৬ সালে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াককে সঙ্গে নিয়ে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্টিভ জবস।