ঢাকায় চলছে দেশের প্রথম মিম উৎসব
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা সক্রিয়, তাঁদের কাছে ‘মিম’ শব্দটি অপরিচিত নয়। মিম–এর জনপ্রিয়তা এখন অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। মিম হলো এমন কোনো হাস্যকর ছবি, ভিডিও বা লেখা, যা মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। হাস্যরসের পাশাপাশি মিমে ব্যঙ্গও থাকে অনেক সময়।
দেশে এবার প্রথমবারের মতো মিম উৎসবের আয়োজন করেছে বিনোদন, কৌতুক ও ব্যঙ্গবিদ্রূপভিত্তিক ওয়েবসাইট ইআরকি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে দিনব্যাপী চলছে এই মিম উৎসব। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে এই উৎসব। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উৎসবজুড়ে নানা ধরনের বাংলা মিম প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দের মিম চরিত্রকে ভোট দেয়ার সুযোগও (আপনার হয়ে ব্যালট বক্সে ভোট দিয়ে দেওয়া হবে) রয়েছে। এছাড়াও উৎসবে মিমবিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।
উৎসবে প্রদর্শিত কিছু মিমস
ইআরকির সম্পাদক সিমু নাসের প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিম খুবই কার্যকর একটি যোগাযোগমাধ্যম হতে পারে। মিমের মাধ্যমে মানুষকে হাসানোর পাশাপাশি সমাজে শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা ছিল, অধিকাংশ মিম ইংরেজিতে তৈরি। ২০১৭ সালের ইয়ার্কি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা বাংলাদেশি মিমের দিকে গুরুত্ব দিই। ইয়ার্কির অধিকাংশ মিম বাংলা ভাষায়।’
মিম সাধারণত বিভিন্ন জনপ্রিয় নাটক, চলচ্চিত্র অথবা ছবির দৃশ্য থেকে তৈরি হতে পারে। পছন্দের তারকাদের নিয়ে মিম বানাতে পছন্দ করেন অনেকে। মুঠোফোনে ‘মিম জেনারেট’ অ্যাপ দিয়ে চাইলে যে কেউ তৈরি করে ফেলতে পারেন চমৎকার মিম।
বাংলাদেশের মিমগুলো বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্র থেকে হবে—এটাই স্বাভাবিক। জনপ্রিয় কিছু মিম তৈরির উপাদান পাওয়া যাবে হুমায়ূন আহমেদের নাটকগুলো থেকে। কিছু মিম তৈরি হয়েছে মোশাররফ করিম, শাকিব ও জায়েদ খানের মতো অভিনেতাদের নিয়ে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে মিম থেকে বিতর্কের জন্ম হতে পারে। সিমু নাসের বিষয়টি সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘একই মিম কারও কাছে খুবই বিতর্কিত, আবার কারও কাছে খুবই হাস্যকর হতে পারে। ব্রাজিলকে নিয়ে মিম তৈরি হলে আর্জেন্টিনার ভক্তরা মজা পেলেও ব্রাজিলের ভক্তরা কষ্ট পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই মিম বিষয়টি যাঁর যাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে উপভোগ করা উচিত।’