ইউটিউবে ২০ লাখ চ্যানেল থেকে আয় করে মানুষ

‘পার্টনার প্রোগ্রাম’ নামের কর্মসূচির মাধ্যমে নির্মাতাদের অর্থ পরিশোধ করে থাকে ইউটিউব
রয়টার্স

বেশির ভাগ মানুষ ইউটিউবে ঢুকে ভিডিও দেখেন। হয়তো কিছু শিখতে কিংবা সময় কাটানোর জন্য। তবে ভিডিওগুলো যাঁরা বানান, তাঁদের অনেকের জন্য সেটি জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।

ইউটিউব জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটি থেকে আয় করা চ্যানেলের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। ‘পার্টনার প্রোগ্রাম’ নামের কর্মসূচির মাধ্যমে নির্মাতাদের অর্থ পরিশোধ করে থাকে ইউটিউব।

পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার আবেদন করতে ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হয়। সে সঙ্গে গত এক বছরে চ্যানেলের ভিডিওগুলো মোট চার হাজার ঘণ্টা দেখা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ইউটিউব আবেদন গ্রহণ করলে সেই নির্মাতা অবস্থান অনুযায়ী বিজ্ঞাপন, সাবস্ক্রিপশন ফি, অনুদান, লাইভস্ট্রিম এবং ইউটিউব প্রিমিয়ামের মাধ্যমে ভিডিও থেকে অর্থ আয় করার সুযোগ পাবেন।

ভিডিও নির্মাতাদের বিজ্ঞাপনী আয়ের একটি অংশ পায় ইউটিউব। সেদিক থেকে দেখলে যত বেশি ভিডিও নির্মাতা আয় করবেন, তাতে ইউটিউবেরই লাভ। তবু গুগলের মালিকানাধীন সেবাটি ন্যূনতম যোগ্যতা ঠিক করে দিয়েছে যেন সবাই পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে না পারে। সেটার কারণ হলো, বিজ্ঞাপনদাতারা যদি ভিডিওর কনটেন্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজ্ঞাপন দেওয়াই বন্ধ করে দেন, তবে তাতে ইউটিউবেরও ক্ষতি।

২০১৯ সালে হয়রানিবিষয়ক নীতিমালা হালনাগাদ করে ইউটিউব। সে নীতিমালার আওতায় অনেক নির্মাতাকে শাস্তি হিসেবে বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

করোনাকালে মানুষ ইউটিউবমুখী হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নীল মোহন এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে পার্টনার প্রোগ্রামে নতুন চ্যানেল যুক্ত হওয়ার হার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ছিল। আর কমপক্ষে এক লাখ ডলার আয় করে, এমন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। তবে কতগুলো চ্যানেল সে পরিমাণ আয় করে, তা উল্লেখ করেননি।

নীল মোহন বলেছেন, ‘নির্ভরযোগ্য ভিডিও নির্মাতাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার নতুন উপায় খুঁজে বের করা এবং তাদের ব্যবসা এগিয়ে নিতে সাহায্য করা আমাদের কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পায়। গত তিন বছরে আমরা নির্মাতা, শিল্পী এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন হাজার কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করেছি।’