উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ই-ক্যাবের নির্বাচন

ভোটকেন্দ্রের সামনে সমর্থকদের প্রচারণা।তারিকুর রহমান খান

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাইয়্যেদানা কমিউনিটি সেন্টারে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে পছন্দের প্রার্থীর ব্যাজ গলায় ঝুলিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণাও চালাচ্ছেন সমর্থকেরা। ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে অগ্রগামী, দ্য চেঞ্জ মেকারস ও ঐক্য নামের তিনটি প্যানেলে ২৭ জনসহ মোট ৩১ প্রার্থী কার্যনির্বাহী পরিষদের ৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৭৯৫।
ই-ক্যাব নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিন হেলালী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুর ২টা পর্যন্ত মোট ৩৫০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ চলবে। তবে সময় শেষ হলেও লাইনে দাঁড়ানো সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। আশা করি, রাত আটটার মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।’

ভোটার বা প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য এ এইচ এম বজলুর রহমান বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। বাহিরে প্রার্থীর নাম ধরে অতিরিক্ত স্লোগান দিচ্ছেন সমর্থকেরা। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় ভোটারদের বিরক্তও করছেন অনেকে।’

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
তারিকুর রহমান খান

নির্বাচনে অংশ নেওয়া অগ্রগামী প্যানেলের সদস্য কমজগৎ টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভোটও হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবশে। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।’
দ্য চেঞ্জ মেকারস প্যানেলের সদস্য ই-কুরিয়ারের বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘প্রথম দুই ঘণ্টা ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ভোটকেন্দ্র ঢাকার এক প্রাপ্তে হওয়ায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনকে বলার পরও ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়নি। এটি এই কমিটির ব্যর্থতা। তারপরও আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

ঐক্য প্যানেলের সদস্য যাচাই ডটকমের আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভোট ভালো হচ্ছে, উপস্থিতিও ভালো। সব ভোটার ভোট দিতে পারলে আমার প্যানেলের জয় নিশ্চিত।’

নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর বেশ খুশি আমার পে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম ইশতিয়াক সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে আজ ঈদের দিন। আনন্দ আর উৎসবের মধ্যে চলছে ভোট। তবে বাহিরে লোক বেশি থাকার কারণে ভোটার কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এ ছাড়া সব কিছু সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিন হেলালী। অন্য সদস্যরা হলেন এ এইচ এম বজলুর রহমান ও মো. আবদুর রাজ্জাক।
নির্বাচনে তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মো. নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন খান ও মো. হারুনুর রশিদ।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩১ প্রার্থী হলেন ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের শমী কায়সার, কমজগৎ টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ, ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন, রেভারি করপোরেশন লিমিটেডের নাসিমা আক্তার, ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ, ডিজিটাল হাব সলিউশনস লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, ফোকাস ফ্রেমের মো. রুহুল কুদ্দুস, পেপারফ্লাই প্রাইভেট লিমিটেডের শাহরিয়ার হাসান, ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের সৈয়দা আম্বারীন রেজা, সিপরোকো কম্পিউটারস লিমিটেডের শাফকাত হায়দার, বাংলামেডস ফার্মেসি লিমিটেডের ওয়াসিম আলিম, ক্লিনফোর্স লিমিটেডের মো. তাসদীখ হাবীব, আরটিএস এন্টারপ্রাইজের জিসান কিংশুক হক, কিনলে ডটকমের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের বিপ্লব ঘোষ, সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের মো. ইলমুল হক, হুর নুসরাতের নুসরাত লোপা, যাচাই ডটকম লিমিটেডের আবদুল আজিজ, মেনসেন মিডিয়ার তৌহিদা হায়দার, স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেডের আরিফ মোহাম্মদ আবদুস শাকুর চৌধুরী, পরান বাজারের মো. আরিফুল ইসলাম, এস এম ইন্টারন্যাশনালের মো. ছোফায়েত মাহমুদ, ক্রাফটস ম্যান সল্যুশনের মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম, র‍্যাপিডো ডেলিভারিসের সামদানী তাব্রীজ, আই এক্সপ্রেস লিমিটেডের মো. তাজুল ইসলাম এবং নুরতাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের মো. সেলিম শেখ, আদি বিডি লিমিটেডের ফাতিমা বেগম, বিডি এক্সক্লুসিভের মুহাম্মাদ ইসমাইল হুসাইন, যাচাই লিমিটেডের মাফিয়া নাহিদ এবং পাবলিক্স মেট্রো লিমিটেডের মো. আবদুল আলিম।